মোস্তাফিজদের হারিয়ে টিকে থাকলো হায়দরাবাদ

ম্যাচ আসলে আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ১২ বলে দরকার ৬ রান। ১৯তম ওভারে বল হাতে নেওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের কী বা করার আছে তখন! অলৌকিক কিছু ঘটাতে পারলে হয়তো আশা বেঁচে থাকতো। বাংলাদেশি পেসার প্রথম বলটা ডট দিলেও পরের দুই বলে দিলেন বাউন্ডারি। অলৌকিক কিছু না ঘটে বরং সহজ জয় নিশ্চিত হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে যে জয়ে গাণিতিক হিসাবে এবারের আইপিএলের শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে কেন উইলিয়ামসনরা।

পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়েছে হায়দরাবাদ। সোমবার দুবাইয়ের ম্যাচে রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। রাজস্থানের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে করা ১৬৪ রান ৩ উইকেট হারিয়ে ৯ বল আগেই টপকে যায় হায়দরাবাদ। ফলে আইপিএলের শেষ চারের স্বপ্ন টিকে থাকলো তাদের। ১০ ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয় জয় পাওয়া হায়দরাবাদ ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে মোস্তাফিজরা।

রাজস্থানের কাছে হারলে একরকম বিদায়ঘণ্টা বেজে যেতো হায়দরাবাদের। কারণ ১০ ম্যাচে তখন উইলিয়ামসনদের পয়েন্ট থাকতো ২। আর রাজস্থান ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যেতো চারে। সেই হিসাবে হায়দরাবাদ বাকি থাকা ৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮ পয়েন্ট পেতে পারতো। সবমিলিয়ে পয়েন্ট হতো ১০। কিন্তু রাজস্থান (১০ পয়েন্ট ধরে) বাদে শীর্ষ চারের অন্য দলগুলো- চেন্নাই সুপার কিংস (১৬), দিল্লি ক্যাপিটালস (১৬) ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (১২) পয়েন্ট তাদের চেয়ে এখনই বেশি।

দল হারলেও মোস্তাফিজ এই ম্যাচেও তার কার্যকারিতার প্রমাণ রেখেছেন। প্রথম ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। সব মিলিয়ে ৩.৩ ওভারে তার খরচ ২৬ রান।

ডেভিড ওয়ার্নারকে বসিয়ে হায়দরাবাদ একাদশে সুযোগ দিয়েছিল জেসন রয়কে। ইংলিশ ওপেনার সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ব্যাটসম্যানের ৪২ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলা ৬০ রান জয়ের ভিত গড়ে দেয়। যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ৪১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় হার না মানা ৫১ রানের ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেন। অভিষেক শর্মা ১৬ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। ১১ বলে ১৮ রান করে যান ঋদ্ধিমান সাহা। আর মোস্তাফিজের মুখোমুখি প্রথম বলে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান প্রিয়াম গর্গ।

এর আগে ব্যাটিংয়ে রাজস্থানকে একাই টেনেছেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৫৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় এই উইকেটকিপার খেলেন ৮২ রানের অসাধারণ ইনিংস। ২৩ বলে ৩৬ রান করেন যশস্বী জয়সওয়াল। ২৮ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন মহিপল লমরর।

হায়দরাবাদের সবচেয়ে সফল বোলার সিদ্ধার্থ কাউল। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার ও রশিদ খান।