মুম্বাইয়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত মোস্তাফিজের রাজস্থান

ব্যাটসম্যানরা কিছুই করতে পারেননি। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ৯০ রান তুলতে পেরেছে রাজস্থান রয়্যালস। বল হাতে তখন কী-ইবা করার আছে মোস্তাফিজুর রহমানের! তবু যেভাবে আইপিএলে পারফর্ম করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসার, তাতে আশার রেণু কিছুটা হলেও উড়ছিল। যদিও বাঁহাতি পেসার নিজের সামর্থ্যের ধারেকাছেও ছিলেন না। উইকেট পেয়েছেন একটি, তবে ২.২ ওভারে খরচ করেছেন ৩২ রান!

বিবর্ণ মোস্তাফিজের মতো তার দলের অবস্থাও শোচনীয়। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তাণ্ডবে আক্ষরিক অর্থেই উড়ে গেছে রাজস্থান। মঙ্গলবার শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজদের দেওয়া ৯১ রানের লক্ষ্য ৮.২ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে রোহিত শর্মারা। ফলে ৮ উইকেটের বড় হারে প্লে-অফের স্বপ্নটাও ফ্যাকাশে হয়ে গেছে রাজস্থানের। ১৩ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কাগজে-কলমে হয়তো প্লে-অফের সম্ভাবনা বেঁচে আছে। তবে সেজন্য অনেক ‘যদি’ ‘কিন্তু’ রয়েছে। অন্যদিকে বড় জয়ে সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে গেছে মুম্বাই।

নাথান কোল্টার-নাইলের তোপে কিছুই করতে পারেনি রাজস্থান। অস্ট্রেলিয়ান পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা কোল্টার-নাইলের সঙ্গে দাপট দেখিয়েছেন জিমি নিশাম। কিউই পেসার ৪ ওভারে ১২ দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর জসপ্রিত বুমরা ৪ ওভারে ১৪ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট।

এই তিন পেসারের তোপের সামনে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন ওপেনার এভিন লুইস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান ডেভিড মিলারের। ব্যর্থতার খাতায় নাম ‍তুলেছেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (৩), শিবম দুবে (৩) ও গ্লেন ফিলিপস (৪)।

এরপর মাত্র ৯১ রানের লক্ষ্য ইশান কিষানের তাণ্ডবে নবম ওভারেই টপকে যায় মুম্বাই। এই উইকেটকিপার ২৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস। রোহিত ১৩ বলে ১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেন ২২ রান। হার্দিক পান্ডিয়া ৫ রানে অপরাজিত। আর সূর্যকুমার যাদব আউট হন ১৩ রানে।

রাজস্থানের সবচেয়ে খরুচে বোলার মোস্তাফিজ। ২.২ ওভারে ১ উইকেট পেতে তার খরচ ৩২ রান। চেতান সাকারিয়া ৩ ওভারে একটি মেডেন পেলেও ১ উইকেট নিতে দিয়েছেন ৩৬ রান।