রোমাঞ্চ ছড়িয়েও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ভারত

দীপক চাহারের ব্যাটিং বীরত্বের পরও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ভারত। রোমাঞ্চ ছড়িয়েও শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ৪ রানে! তাতে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ তে ধবল ধোলাই হয়েছে সফরকারী দল।

২৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারত ১৮ রানে হারায় অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের উইকেট। তার পর উল্লেখযোগ্য বলতে দ্বিতীয় উইকেটে শিখর ধাওয়ান-বিরাট কোহলির ৯৮ রানের জুটি। এই দুই ব্যাটারই একটা ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। শিখর ধাওয়ান ৬১ রানে ফিরলে দলীয় ১১৬ রানে পতন হয় দ্বিতীয় উইকেটের। দ্রুত ঋষভ পান্ত (০) ও বিরাট কোহলিও (৬৫) ফিরলে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে।

মিডল অর্ডারে শ্রেয়াস আইয়ার ও সূর্যকুমার যথাক্রমে ২৬, ৩৯ রানের ইনিংস খেললেও ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। সাজঘরে ফিরেছেন। জয়ন্ত যাদবও ফিরেছেন ২ রানে। তার পর ৭ নম্বরে নেমে ম্যাচের প্রাণ ফিরিয়েছিলেন দীপক চাহার। তার ৩৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে জয়ের দ্বারপ্রান্ত প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল সফরকারী দল। কিন্তু ৪৭.১ ওভারে চাহারের বিদায়ের পর জয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি লেজের দিকের ব্যাটাররা। ভারত ৪৯.২ ওভারে গুটিয়ে গেছে ২৮৩ রানে।

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে আন্দিলে ফেলুকায়ো ও লুঙ্গি এনগিদির বোলিং নৈপুণ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ফেলুকায়ো। ৫৮ রানের বিনিময়ে চাহারের উইকেটসহ সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন এনগিদিও। দুটি নেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।  

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা টস হেরে ৪৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করেছে ২৮৭ রান। পুরো ইনিংসটি ছিল কুইন্টন ডি ককময়। প্রোটিয়া ব্যাটার একাই করেছেন ১২৪ রান। ডি কক ১৩০ বলে ১২টি চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন। ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরাও হয়েছেন তিনি।

এছাড়া রাসি ভ্যান ডার ডাসেন ৫৯ বলে ৫২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। ডি ককের ফেরার পরেই ধস নামে প্রোটিয়াদের। ৭৩ রানে পতন হয়েছে শেষ ৭ উইকেটের। ভারতের হয়ে ৫৯ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। দুটি করে উইকেট নেন দীপক চাহার ও জসপ্রীত বুমরাহ।