ফাইনালে গিয়ে শিরোপা না জেতার মানেই হয় না: সুজন

বিপিএলে সবসময়ের দারুণ জুটি বলা চলে খালেদ মাহমুদ সুজন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাদের দল ঢাকা ডায়নামাইটস টানা ৩ ফাইনাল খেলেছে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে। সুজন কোচ হিসেবে ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম কিংসকেও একবার ফাইনালে নিয়েছিলেন। কিন্তু সব মিলে ২০১৬ সালে রাজশাহীর বিপক্ষে একবারই শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার আরও একবার শিরোপার হাতছানি তার সামনে। এবার প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কোচিংয়ে খেলা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। একবার শিরোপার স্বাদ নেওয়া সুজন শুক্রবারও শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছেন।

বরিশালের এই কোচ বৃহস্পতিবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানালেন শিরোপা জিততে তারা কতটা মরিয়া, ‘ফাইনাল তো ফাইনালই। এটার ওপর তো কোনও কিছু নেই। আমরা কষ্ট করে এখানে এসেছি, ভালো ক্রিকেট খেলে এসেছি। এখানে দ্বিতীয় হওয়ার কোনও মূল্য থাকে? সোজা কথা এটাই। লক্ষ্যটা অবশ্যই এক নম্বর হওয়ার।’ আরও যোগ করে বলেছেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, দলও ভালো অবস্থায় আছে। বাড়তি একটা তাড়না আছে। আর অধিনায়ক যখন ভালো খেলে সবকিছু সহজ হয়। সাকিব সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ওর তাগিদটা বেশি ভালো খেলার।’

ফরচুন বরিশালের মূলশক্তি বোলিং। সাকিবের সঙ্গে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান রয়েছেন। পাশাপাশি পেস আক্রমণে শফিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান রানার সঙ্গে আছেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। তবে ব্যাটিং-বোলিংয়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেই বরিশাল ফাইনালে উঠেছে।

সেজন্য স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি খালেদ মাহমুদ সুজন। ফাইনালেও তাদের কাছ থেকে এমন কিছু চাইছেন, ‘আমি একদিক থেকে খুশি আসলে। স্থানীয় খেলোয়াড়রা ভালো করেছে। গত ম্যাচে যেমন সাকিব পারফর্ম করেনি, কিন্তু মুনিম শাহরিয়ার ভালো খেললো, রানা যেভাবে শেষ করলো, তাতে আমি খুবই খুশি। ’

বিদেশি ক্রিকেটাররা সেভাবে ভালো করতে না পারলেও ফাইনালে তাদের পারফরম্যান্সের অপেক্ষায় সুজন, ‘জানি না ওর (ক্রিস গেইল) পারফরম্যান্স কালকের জন্যই রয়ে গেছে কিনা। ও তো বড় খেলোয়াড়, বড় খেলায় জ্বলে উঠবে। আশা করছি, ক্রিস কিংবা মুজিব জ্বলে উঠবে, ব্রাভো তো ভালো করছেই। এখন স্থানীয়রা ভালো খেলে যদি ম্যাচ জেতায়, তাহলে বেশি আনন্দিত হবো।'