সেঞ্চুরি নয়, জেতাটাই গুরুত্বপূর্ণ: শান্ত

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তরুন এই অলরাউন্ডার।

সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন ২৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেও হতাশ নন শান্ত। সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘আমি ৭৩ রান করেছি। দল জিতেছে। এটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। একশ করতে পারিনি, এটা নিয়ে ভাবছি না। একশ হলেই কী, না হলেই কী! ম্যাচ জয়টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’  

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি যেদিন থেকে ক্রিকেট খেলি, সেদিন থেকেই আমার লক্ষ্য দলের জয়ে অবদান রাখা। আমি সেঞ্চুরি করার পরও যদি দল হারে, তাহলে লাভ নেই। আমার পরিকল্পনা বরাবরই থাকে যে ১০০, ৭০ কিংবা ১০ যাই করি তা যেন দলের জয়ে কাজে লাগে।’ 

২০১৪ সালের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে বলে মনে করেন শান্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে যেহেতু বিশ্বকাপ খেলেছি, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। আমি বুঝতে পারছি কখন, কিভাবে খেলা উচিত।’ 

উইকেটে গিয়ে নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রথমে পরিকল্পনা ছিল আমি স্ট্রাইক রোটেট করার। এরপর উইকেটে গিয়ে, সিঙ্গেল খেলব ও বাজে বল পেলে মারব। পরে ২-৩টা উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ঠিক করেছিলাম যে আর শট খেলবো না। সিঙ্গেল খেলে ইনিংসটা এগিয়ে নেব।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে বলে মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। আমরা জানতাম ওরা কে কেমন, কোথায় বল করে বা ব্যাটসম্যানরা কোথায় শক্তিশালী। সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা করেছি।’

এই উইকেটে ২৪০-২৫০ ভালো স্কোর বলে মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘উইকেট যেরকম ছিল, তাতে করে এখানে ২৪০-২৫০ খুব ভালো স্কোর। উইকেট একটু মন্থর ছিল, বল থেমে এসেছে। রান করা কঠিন ছিল। আমাদের পরিকল্পনাই ছিল ২৪০-২৫০ রান করা।’

প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এখান থেকে আত্মবিশ্বাসের রসদ নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি মনে করেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা খুব ভালো দল, আমরা ওদেকে হারিয়েছি, শুরুটা ভালো হয়েছে। পরের ম্যাচগুলো সহজ বলব না, তবে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারবো।’

/আরআই/এমআর/