‘সবারই অবদান ছিল, তবে তাসকিনেরটা একটু স্পেশাল’

দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন যেকোনও দলের জন্যই বেশ কঠিন। কিছুদিন আগে শক্তিশালী ভারত সেখানে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এমন জয়ে দলের সবার অবদান দেখলেও ইয়াসির আলী মনে করেন, তাসকিনের অবদান একটু ‘স্পেশাল’।

৩১৫ রান তাড়ায় প্রোটিয়াদের ইনিংসে প্রথম ধাক্কা দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর তাসকিন প্রোটিয়া শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন। একই ওভারে কাইল ভেরিয়েনে ও এইডেন মারক্রামকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু এনে দেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে রাসি ফন ডের ডুসেন ও ডেভিড মিলার যখন ৬৪ বলে ৭০ রানের জুটি করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিলেন, তখনও ত্রাতার ভূমিকায় ডানহাতি পেসার। সেঞ্চুরিয়নের মতো ছোট মাঠে তাসকিন মেডেন ওভার নিয়েছেন। ১০ ওভারে ৩৬ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট।

৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলা ইয়াসির সংবাদ সম্মেলনে আলাদা করে বললেন তাসকিনের কথা, ‘আপনি যদি দেখেন কোভিডের পর থেকে সে (তাসকিন) নিজেকে বদলে ফেলেছে। তাসকিন কিন্তু মাশাআল্লাহ খুব ভালো শেপে, খুব ভালো বল করছে। আমাদের এই জয়ের পেছনে কিন্তু বোলারদের অনেক বড় হাত, তাসকিনেরও কিন্তু অনেক বড় অবদান এটার পেছনে। সবারই অবদান ছিল, তবে তাসকিনেরটা একটু স্পেশাল। ওর প্রথম ২ উইকেট তো একটা ওভারে। এটা বড় সেটব্যাক ছিল ওদের জন্য।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার আগে দলের ভেতর আত্মবিশ্বাস ছিল দারুণ কিছু করার। ইতিবাচক মানসিকতার কারণেই ফল এসেছে বলে মনে করেন ইয়াসির, ‘এই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে থেকে সবাই মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী ছিল, আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওদের হারাতে পারবো। সিরিজ জিতবো। সবার মধ্যে এই একটা বিশ্বাস ছিল যে, আমরা জিততে পারবো।’

অনেকদিন ধরে জাতীয় দলের সঙ্গী হলেও মাঠে নামা হচ্ছিল না ইয়াসিরের। গত বছর এক এক করে সব ফরম্যাটেই অভিষেক হয়েছে তার। শুক্রবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

দলে অবদান রাখতে পেরে দারুণ খুশি এই ব্যাটার, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ম্যাচ জিতেছি, আমার খুব ভালো লাগছে। দল জেতার পেছনে আমারও একটা অবদান ছিল। অনেকদিন ধরেই (জাতীয় দলের সঙ্গে) ছিলাম। এটা আমার জন্য একটা শিক্ষা ছিল। কারণ হচ্ছে, অনেক কিছু শিখতে পেরেছি ওখান থেকে। জাতীয় দলের আবহ কেমন থাকে, কীভাবে মাঠে খেলতে হয়...।’