দ্বিতীয় ম্যাচেও জায়গা হারিয়েছেন মোস্তাফিজ, হারলো দিল্লি

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে জায়গা হারালেন বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মোস্তাফিজ বিহীন দিল্লি ক্যাপিটালস ৯১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। মোস্তাফিজকে একাদশের বাইরে রেখে আগের ম্যাচ জিতলেও আজকের ম্যাচে হার দেখতে হয়েছে দিল্লিকে।

মুম্বাইতে ডেভন কনওয়ের ৪৯ বলে ৮৭ রানের ঝড়ে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় চেন্নাই। ২০৯ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিল্লির ব্যাটাররা যেন খেই হারালেন। টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার সবখানেই ছিল ব্যর্থতার মিছিল। ফলে ১৭.৪ ওভারে মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয় মোস্তাফিজের দল। সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে। এছাড়া শার্দুল ঠাকুর ২৪ ও ঋষভ পন্ত খেলেন ২১ রানের ইনিংস।

চেন্নাইয়ে হয়ে মঈন আলী ১৩ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া মুকেশ চৌধুরী, সিমারজিৎ সিং ও ডোয়াইন ব্রাভো প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাইয়ের ২২ গজে ঝড় তোলে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। দলটির দুই ঋতুরাজ গায়কওয়াড়  ও ডেভন কনওয়ে মিলে ১১০ রানের জুটি গড়েন। ঋতুরাজ ৩৩ বলে ৪১ রান করে আউট হলে শিবম দুবে ক্রিজে নামেন। দ্বিতীয় উইকেটে কনওয়ের সঙ্গে শিবম দুবেও গড়েন ৫৯ রানের জুটি। ১৯ বলে ৩২ রান করে শিবম আউট হলেও ছন্দ নষ্ট হয়নি চেন্নাইয়ের। এরপর বেশ কিছু উইকেট হারালেও কনওয়ের ৪৯ বলে ৮৭ রানের টর্নেডো ইনিংস ও মাহেন্দ্র সিং ধোনির ৮ বলে ২১ রানের ঝড়ে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে চেন্নাই।

দিল্লির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার মোস্তাফিজের বদলে সুযোগ পাওয়া এনরিখ নরকিয়া। তিনি ৪২ রান খরচায় নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া খলিল আহমেদ নেন দুটি এবং মিচেল মার্শ নেন একটি উইকেট।

রবিবার দিনের আরেক ম্যাচে ৬৭ রানের জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বেঙ্গালুরু আগে ব্যাটিং করে ফাফ ডু প্লেসিসের ৭৩ রানের উপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খেলতে নেমে হাসারাঙ্গা ডি সিলভার ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সবমিলিয়ে ১২৫ রানে অলআউট হয় তারা। ফলে ৬৭ রানের বড় জয় পায় বেঙ্গালুরু।