সময় বেছে রিভার্স সুইপ, মুশফিকের উদ্দেশে ডমিঙ্গো

খাদের কিনারায় থাকা দলকে টেনে তুলে ভালো অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু অসময়ে রিভার্স সুইপ কিংবা স্লগ সুইপের মতো শটস খেলে আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেললেন- মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা আছে অনেক। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে যেমন!

১৯২ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৩৪ বল খেলে হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন মুশফিক। অথচ সেই তিনিই কিনা লাঞ্চের আগে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হলেন! তিনি আউট হতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। মুশফিকের দায়িত্ব-জ্ঞানহীন শটে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অধিনায়ক মুমিনুল হক তার হয়ে সাফাই গাইলেও আজ (শুক্রবার) প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, রিভার্স সুইপ খেলার উপযুক্ত সময় বেছে নেওয়া উচিত মুশফিকের।

সুইপ, স্লগ সুইপ, রিভার্স সুইপ, প্যাডেল সুইপ, স্কুপ- এসব খেলতে পারা যেকোনও ব্যাটারের জন্যই দারুণ স্কিলের পরিচয়। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার মুশফিক এই শটগুলোতেই বহু রান করেছেন। তবে মুদ্রার উল্টোপিঠও আছে। এই শটগুলো খেলতে গিয়েই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে দলকে তিনি বিপদে ফেলেছেন। সবশেষ পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে তাকে ঘিরে প্রবল আলোচনা ছিল রিভার্স সুইপ নিয়ে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন অভিজ্ঞ ব্যাটারের শটস মেনেই নিতে পারছিলেন না। ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস তো বলেই ফেলেছিলেন, ‘সে কি এখানে মজা করছে? কী হচ্ছে?’

শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে আবার মুশফিকের ‘প্রিয়’ শটসের প্রসঙ্গ ফিরে এলো। এই ধরনের শটসে আপত্তি নেই প্রধান কোচ ডমিঙ্গোর। তবে যে শটে ঝুঁকি বেশি, সেটি খেলার জন্য সঠিক সময় নেওয়ার কথা শোনালেন তিনি, ‘ধরুন, ওপেনিং ব্যাটার কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হলো বা মিড উইকেটের দিকে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হলো, এটা খেলা বন্ধ করতে বলবেন? কোনও শট নিয়ে যদি কারও আত্মবিশ্বাস থাকে, আস্থা থাকে এবং যদি সে মনে করে এটা ভালো বিকল্প, সেই শট খেলায় সমস্যা থাকতে পারে না। আমার মতে, শট খেলার সময়টা গুরুত্বপূর্ণ, কখন শটটি খেলা উচিত এবং কেন ওই শট খেলা প্রয়োজন।’

এরপরই মুশফিকের রিভার্স সুইপ নিয়ে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘রিভার্স সুইপে মুশফিক দুর্দান্ত, অতীতে এই শটে অনেক রানও করেছে। এই শট নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসীও সে। স্রেফ সময়টা গুরুত্বপূর্ণ, কখন এই শট খেলবে। কাভার ড্রাইভও যেমন, খুব সুন্দর শট। কিন্তু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হলে প্রথম ২০-৩০ বলের মধ্যে কাভার ড্রাইভ খেলতে গেলে ঝুঁকি থাকবে। ৫০-৬০ বল খেলার পর কাভার ড্রাইভে সমস্যা নেই। ব্যাপারটি আসলে এমন, কখন শটটি খেলছে।’