ব্যাটিং ব্যর্থতার ম্যাচে লিটনের প্রাপ্তি

প্রবীণ জয়াবিক্রমাকে কাভারে খেলে সিঙ্গেল নিয়ে বাংলাদেশের অষ্টম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন লিটন দাস। দারুণ ফর্মে থাকা লিটন মাঠে নামলেই পাচ্ছেন রান। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দারুণ ব্যাটিং করছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

৪১ রান দূরে থাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন। বৃহস্পতিবার ১ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার আজ (শুক্রবার) বাকি ৪০ রান তুলে এই মাইলফলকে পৌঁছান। দ্রুত মুশফিককে হারিয়ে দল যখন কঠিন বিপদে, তখন সাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফলোঅন এড়ান তিনি। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ২ হাজার রানের ক্লাবে যুক্ত হন এই ব্যাটার। ৫৬ ইনিংসে ২ হাজার রানের দেখা পান লিটন। লাঞ্চ বিরতির পর আউট হন ৫২ রানে।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে ২ হাজার রান স্পর্শ করেছেন লিটন।  লিটনের ৫৬ ইনিংস লাগলেও ৪৭ ইনিংসে এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন মুমিনুল হক। দ্বিতীয় দ্রুততম তামিম ইকবালের লেগেছিল ৫৩ ইনিংস।

টেস্ট ক্রিকেটে গত দুই বছর ধরে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন লিটন। ২০২১ সালে ৭ টেস্ট খেলে ৫৯৪ রান করেন। সেঞ্চুরি করেন একটি, হাফসেঞ্চুরি ৫টি। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬ টেস্টে রান করেছেন ৫৪৯ রান। দুটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি আছে তার।

টেস্টে ৫ হাজার ২৩৫ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন মুশফিক। তার পর যথাক্রমে আছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুমিনুল হক। ২ হাজার বা তার বেশি রান আছে হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও মাহমুদউল্লাহর। যদিও তারা কেউই এখন আর খেলছেন না।

অপার সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় লিটনের। কিন্তু নিজের প্রতিভা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তাকে নিয়ে শুরু সমালোচনা। যদিও এই উইকেটকিপার ব্যাটার নিন্দুকদের সমালোচনা গায়ে মাখেননি। নিজেকে ভেঙে গড়েছেন, বদলে ফেলেছেন অনুশীলনের ধরন। তাতে মিলেছে ছন্দ, ভাসছেন রানের বন্যায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসেও হেসেছে তার ব্যাট। পেয়েছেন সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ৮৯ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। আর ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ১৪১ রানের ইনিংস।