আইপিএলের রেকর্ড ব্রেকিং সম্প্রচার স্বত্বে আরও যা জানা গেলো  

বিশ্বের দ্বিতীয় দামি ক্রীড়া টুর্নামেন্ট হিসেবে নাম লিখিয়েছে আইপিএল। তিন দিনের ই-নিলামের টান টান উত্তেজনা শেষে ৫ বছরের চক্রে টিভি ও ডিজিটাল মিলিয়ে সম্প্রচার স্বত্ব শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মোট ৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি রুপিতে। তবে ক্রিকেটের কথা এলে সব থেকে দামি টুর্নামেন্ট এটাই। যার মূল্যমান আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

এখন সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় সংখ্যায় সংখ্যায় আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্বের বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক-

ভেঙেছে আগের রেকর্ড

২০২৩-২৭ চক্রে সম্প্রচার স্বত্বের মূল্য আগের বারের চেয়ে ১৯৬ শতাংশ বেশি। ২০১৮-২২ চক্রে স্বত্ব পেয়েছিল স্টার ইন্ডিয়া। টিভি ও ডিজিটাল দুটোই তারা পেয়েছিল ১৬ হাজার ৩৪৭.৫ কোটি রুপিতে। ৫ মৌসুমে প্রতিটি আসরে ম্যাচ ছিল ৬০টি। দল বাড়ায় এবার পরবর্তী ৫ মৌসুমে ৪১০ ম্যাচের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাণ্ডারে যাচ্ছে ৪৮ হাজার ৩৯০.৫ কোটি রুপি। যা আসলে আগের আসরের চেয়ে ২.৯৬ গুণ বা ১৯৬ শতাংশ বেশি।

দ্বিতীয় দামি ক্রীড়া টুর্নামেন্ট

প্রতিটি ম্যাচের দাম বিবেচনা করলে আমেরিকার রাগবি লিগ বা এনএফএলের পরই আইপিএলের স্থান। এনএফএলের প্রতিটি ম্যাচের দাম প্রায় ২৭৪ কোটি রুপি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটি ম্যাচের দাম যেখানে ৮৯ কোটির কাছাকাছি। সেখানে নতুন চক্রে আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচের দাম দাঁড়াচ্ছে ১১৮.০২ কোটি রুপি।

জাতীয় দলের ম্যাচের চেয়েও দামি আইপিএল        

সম্প্রচার সত্ত্ব বিবেচনায় নিয়ে এখন ভারতের হোম ম্যাচের চেয়েও দামি আইপিএল। ২০১৮ সালে স্টার ইন্ডিয়ার করা চুক্তি অনুযায়ী ভারতের প্রতিটি ম্যাচের দাম ৬০ কোটি রুপি। আর আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচের দাম ১১৮.০২ কোটি! অর্থাৎ জাতীয় দলের ম্যাচের চেয়ে ১.৯৬ গুণ বেশি। 

এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পরবর্তী ৫ বছরের জন্য উপমহাদেশে ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি রুপিতে আইপিএলের টিভি স্বত্ব কিনেছে ডিজনি স্টার। অর্থাৎ ম্যাচগুলো স্টার স্পোর্টসের বিভিন্ন চ্যানেলে দেখা যাবে।

আর একই অঞ্চলে ২৩ হাজার ৭৫৮ কোটি রুপিতে ডিজিটাল স্বত্ব কিনে নিয়েছে মুকেশ আম্বানির ভায়াকম ১৮। পাশাপাশি তিনটি বৈশ্বিক অঞ্চলের (অস্ট্রেলিয়া+নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা) টিভি ও ডিজিটাল স্বত্বও তারা কিনেছে। বাকি দুটি বৈশ্বিক অঞ্চল যথা মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার স্বত্ব পেয়েছে টাইমস ইন্টারনেট। প্রথমটি তারা ২০৫ কোটিতে কিনেছে আর পরেরটি ২৫৮ কোটি রুপিতে।