এনামুল টেস্ট একাদশে ফিরলেন রেকর্ড গড়ে

আট বছর আগে ২০১৪ সালে এই সেন্ট লুসিয়াতেই সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন এনামুল হক। লম্বা সময় পর ঠিক এখানেই টেস্টে ক্রিকেট প্রত্যাবর্তন হলো তার। তাতে রেকর্ডবুকে নিজের নাম খোদাই করে নিলেন ডানহাতি ব্যাটার। ৭ বছর ৯ মাস ১১ দিন পর টেস্টে ফিরলেন তিনি, বাংলাদেশের হয়ে যা রেকর্ড।

শুক্রবার সেন্ট লুসিয়া টেস্টে মুমিনুল হকের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন এনামুল। তার আগে দীর্ঘতম বিরতি ছিল পেসার নাজমুল হোসেনের। ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর অভিষেক টেস্ট খেলার পর নাজমুল নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে সময় নেন পাক্কা ৭ বছর।

দলের দুই টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল ফর্মে নেই। দীর্ঘদিন অফফর্মে থাকা এই দুই ব্যাটার দলকে কেবল বিপদেই ফেলে যাচ্ছেন। ফলে প্রথম টেস্ট চলাকালে ডাক পড়ে এনামুলের।

শান্তর তুলনায় মুমিনুলের সময় খারাপ যাচ্ছে বেশি। মাউন্ট মঙ্গানুইতে ৮৮ রানের ইনিংসের পর ১২ ইনিংসে তার মোট রান ৭৮। এ সময়ে চার ইনিংসেই রানের খাতা খুলতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক। ১০ ইনিংসে যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। এদিকে শান্ত শেষ ১০ ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন চারবার। সর্বোচ্চ রান ৩৮। বাজে সময় হিসাবে নিলে ‍মুমিনুলের অবস্থা বেশি খারাপ। তাই তাকেই কাটা পড়তে হয়েছে। বাঁহাতি ব্যাটারের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন এনামুল।

যদিও সাম্প্রতিক প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটে এনামুলের পারফরম্যান্সও খুব একটা ভালো নয়। এই মৌসুমে ১৫ ইনিংসে তার রান ৩৯৬, গড় ২৮.২৮। তবে সব মিলিয়ে লাল বলে তার পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। ১০৫ ম্যাচে রান ৭ হাজার ৪৭৯। ২২ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩৮ হাফসেঞ্চুরি আছে।

মূলত ঢাকা লিগে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর তাকে নেওয়া হয় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দলে। পরবর্তীতে টেস্ট দলে সুযোগ পান। এনামুল অবশ্য এত কিছু না ভেবে সুযোগটা কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন, ‘আবার সুযোগ এসেছে, এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। এটি সত্যি যে আমি সাদা বলে ডাক পেয়েছিলাম, সাদা বলেই অনুশীলন করছিলাম। আমি নিজেও কয়েকবার বলেছি এবং বিশ্বাস করি যে, টেস্ট ক্রিকেটকে অনেক বেশি ভালোবাসি। এটা নিয়ে আমার ভেতরে অনেক বেশি প্যাশন কাজ করে।’