বিশ্বকাপে নাম লিখিয়ে ইন্দোনেশিয়ার মেয়েদের ইতিহাস

আগামী বছর মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে প্রথমবার। আর সেই প্রথমের সঙ্গে আরেকটি প্রথমে নতুন ইতিহাস গড়লো ইন্দোনেশিয়ার মেয়েরো। বাছাইয়ে পাপুয়া নিউ গিনিকে (পিএনজি) হারিয়ে এই প্রথম আইসিসির কোনও বিশ্বকাপ ইভেন্টে তারা জায়গা করে নিয়েছে। তাও আবার যে কোনও পর্যায়ের ক্রিকেট বিবেচনায়।

ঐতিহাসিক ম্যাচটি আবার ছিল রোমাঞ্চকরও। শেষ ওভারে বল করছিলেন ১৮ বছর বয়সী আইয়ু কুর্নিয়ার্তিনি। তখন পিএনজির প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। এমন মুহূর্তে ইস্পাত কঠিন মানসিকতার পরিচয় দেন কুর্নিয়ার্তিনি। প্রথম দুই বলে দুই উইকেট ‍তুলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন একা। আর তাতে বড়রাও যা পারেনি, সেই গৌরব অর্জনের উল্লাসে মাতে ইন্দোনেশিয়ার তরুণীরা।

এমন জয়ে ইন্দোনেশিয়া অধিনায়ক ওয়েসিকারাত্না দেবী ভীষণ আনন্দিত। পাশাপাশি এখানেই থেমে থাকতে চাচ্ছেন না তিনি। ভবিষ্যতের কর্মপন্থাও ঠিক করে ফেলেছেন, ‘আমি ভীষণ আনন্দিত ও ‍পুরো দলের জন্য গর্বিত। আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি, নিজেরও বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে বিশ্বকাপে সাফল্য দিয়ে ইন্দোনেশিয়াকে গর্বিত করতে আমার বদ্ধপরিকর।’

তৃতীয় ও চূড়ান্ত ম্যাচটিতে ইন্দোনেশিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৮৯ রান করেছিল। জবাবে ১৯.২ ওভারে পাপুয়া নিউ গিনি ৮৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে।

তিনটি ম্যাচেই সমানে সমান লড়েছে দুই দল। তাই টুর্নামেন্টে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট ও সেরা বোলারের পুরস্কার জিতেছেন পিএনজির ডিকা লোহিয়া। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যই বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে অবদান রেখেছিল। ৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। রান তাড়াতেও ভূমিকা রাখেন অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস খেলে।