শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম তৈরির দায়িত্বে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি

২০১৯ সালে ঢাকার পূর্বাচলে একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে কিছুটা বিলম্বে শুরু হয়েছে এর কার্যক্রম। তবে সবকিছু ছাপিয়ে পূর্বাচলে অবস্থিত শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই কাজের জন্য দুটি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানিকে নির্বাচন করা হয়েছে। এখান থেকে একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেবে বিসিবি। 

রবিবার (১৭ জুলাই) বিসিবির পঞ্চম বোর্ড মিটিং শেষে দুই কোম্পানিকে নির্বাচন করার কথা জানান বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।

বোর্ড মিটিংয়ের মূল আলোচ্যসূচি ছিল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। মিটিং শেষে সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘দুটি কোম্পানিকে নির্বাচন করা হয়েছে। ওই দুটির প্রেজেন্টেশন দেখে মনে হয়েছে ভালো। ওরা নামকরা। পৃথিবীর নামকরা স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে সবখানেই কাজ করেছে। এমসিজি, ওভাল... ওদের দুটি প্রেজেন্টেশন দেখেই আমরা খুশি।’

কক্স আর্কিটেকচার ও পপুলাস আর্কিটেকচার নামে দুটি কোম্পানিকে বাছাই করা হয়েছে। দুটি কোম্পানিরই বিশ্বের বড় বড় স্টেডিয়াম তৈরির অভিজ্ঞতা আছে। অলিম্পিক-ফিফা বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি করেছে। বিসিবি সবকিছু দেখেই তাদের বাছাই করে।

প্রতিষ্ঠান বাছাই হলেও আর্থিক বিষয় এখনও ঠিকঠাক হয়নি। বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘ভেবেছিলাম আজকেই ফিন্যান্সিয়াল বিষয়টাও চূড়ান্ত করে ফেলবো। কিন্তু অন্তত ৭ দিনের একটা নোটিশ পিরিয়ড দিতে হয়। আজকে থেকে ৭ দিন পর আমাদের জানালে আমরা বিষয়টি দেখবো।’

নৌকার আদলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নকশা প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি নেই। ২০২৩ সালে স্টেডিয়াম প্রস্তুতের লক্ষ্য থাকলেও সেটি সম্ভব হচ্ছে না। মূল স্টেডিয়ামের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, পর্যাপ্ত অনুশীলন মাঠ, খেলোয়াড়দের আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা, বিসিবির সদর দফতর এবং একটি পাঁচ তারকা হোটেল থাকবে। স্টেডিয়ামের পাশে পাঁচ তারকা হোটেল হলে অতিথি দলের ক্রিকেটাররা থাকতে পারবেন সেখানেই।