তামিমের অনন্য কীর্তি, বাংলাদেশে তিনিই প্রথম

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম ইকবাল। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৮৮ বলে ৯ চারে ৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।

আজ (শুক্রবার) ৭ হাজার ৯৪৩ রান নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাইলফলক ছুঁতে তামিমের প্রয়োজন ছিল ৫৭ রান। ইনিংসের ২৪তম ওভারে সিকান্দার রাজার করা শেষ বলে চার মেরে মাইলফলকে পৌঁছান তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৩তম ক্রিকেটার হিসেবে তামিম ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান স্পর্শ করেছেন। বাঁহাতি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তিনি আছেন ১১ নম্বরে। এছাড়া ওপেনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম।

দেশের হয়ে ২২৮ ম্যাচ খেলেছেন তামিম। ২২৭ ইনিংসে ৮ হাজার ৫ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং গড় ৩৬.০৬। তার সেঞ্চুরি আছে ১৪টি এবং হাফসেঞ্চুরি ৫৪টি। তামিম ৩৭ ইনিংসে প্রথম ১ হাজার রান ছুঁয়েছিলেন। ২ হাজার রানে পৌঁছাতে তামিমের খেলতে হয়েছে আরও ৩৩ ইনিংস। আগের চেয়ে ১ ইনিংস কম খেলে তামিম ৩ হাজার রানে পৌঁছান। এরপর চার হাজারে পৌঁছাতে খেলেন ৩৫ ইনিংস। ৪ থেকে ৫ হাজারে পৌঁছাতে তামিম খেলেন ২১ ইনিংস। দেশসেরা এই ওপেনার ৬ হাজারে পৌঁছাতে সবচেয়ে কম ১৭ ইনিংস খেলেন। এরপর ৭ হাজারে ২৯ এবং সবশেষ ৮ হাজারের ক্লাবে পৌঁছাতে খেললেন ২৩ ইনিংস।

তামিমের পর রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। ৯ সেঞ্চুরি ও ৫০ ফিফটিতে ৩৭.৭৩ গড়ে ৬ হাজার ৭৫৫ রান করেছেন সাকিব। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩৩ ম্যাচ খেলে ৮ সেঞ্চুরি ও ৪১ হাফসেঞ্চুরিতে ৬ হাজার ৬৯৭ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৪ হাজার ৬২৯ রান নিয়ে চারে মাহমুদউল্লাহ। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আছেন পাঁচ নম্বরে। তার রান ৩ হাজার ৪৬৮।