স্টিভ ওয়াহরা যা পারেনি, মেগ ল্যানিংরা সেটাই করে দেখালো  

২৪ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসে ফিরেছে ক্রিকেট। পার্থক্যটা হলো সর্বশেষ ১৯৯৮ সালের ফাইনালে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার ছেলেদের দল। এবার খেললো মেয়েরা। তাতে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘুচলো মেগ ল্যানিংদের কল্যাণে। সর্বশেষবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে সোনা জেতা হয়নি স্টিভ ওয়াহদের। এবার মেয়েদের কল্যাণে সেই সোনার পদক প্রথবারের মতো তারা জিতে নিয়েছে। ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে ৯ রানের ব্যবধানে।

শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ৮ উইকেটে করা ১৬১ রানের জবাবে ভারত গুটিয়ে যায় ১৫২ রানে। ফাইনালটাও হয়েছে ফাইনালের মতো। শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া-ই। ৯ রানে অ্যালাইসা হিলির উইকেট পতনের পর ধাক্কা সামাল দিয়েছেন ওপেনার বেথ মুনি ও মেগ ল্যানিং। তাদের ৭৪ রানের জুটিই ছিল সর্বোচ্চ।

অধিনায়ক ল্যানিং ২৬ বলে ৩৬ রানে ফিরলে ভাঙে এই গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তার পর হাফসেঞ্চুরিতে দলকে টেনে নেন মুনি। তার পর অ্যাশলে গার্ডেনারকে সঙ্গে নিয়েও জুটি গড়ে খেলেছেন। গার্ডেনার ১৫ বলে ২৫ রান করেছেন। মুনিও একটা পর্যায়ে নিয়ে ৪১ বলে ফিরেছেন ৬১ রানে। যাতে ছিল ৮টি চার।

ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রানুকা সিংহ ও স্নেহা রানা। একটি করে নিয়েছেন দীপ্তি শর্মা ও রাধা যাদব।

জবাবে শুধু অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও জেমিমা রদ্রিগেসের ব্যাটেই লড়াইটা চলেছে ভারতের। ২২ রানে দুই উইকেট পড়ার পর প্রতিরোধ গড়েন দুজনে। দলীয় ১১৮ রানে জেমিমা ফেরার পরেই তাসের ঘরে পরিণত ভারত। ১২১ রানে হারমানপ্রীতের ফেরায় পতন হয় পঞ্চম উইকেটেরও। তার পরেও ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায়নি তারা। ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু তিন বলের মাঝে পতন হয় বাকি দুই উইকেটের।

হেরে যাওয়ায় ভারতকে রুপাতে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত ৪৩ বলে ৬৫ রান করেছেন। তাতে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছয়। জেমিমাহ রদ্রিগেসও ৩৩ বলে দায়িত্বশীল ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিংয়ে কৃতিত্বের দাবিদার অ্যাশলে গার্ডেনার ও মেগান শুট। গার্ডেনার ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। শুট ২৭ রানে নিয়েছেন দুটি। একটি করে শিকার ডার্সি ব্রাউন ও জেস জোনাসেনের।