‘অটো চয়েজ’ মোস্তাফিজকে নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এমনকি আইপিএলে গিয়ে ইমার্জিং প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই মোস্তাফিজ এখন বড্ড অচেনা। স্লো কিংবা টার্নিং উইকেট ছাড়া বাঁহাতি পেসারের কাছ থেকে সেরাটা পাওয়া যাচ্ছিল না। ইদানীং তো নিচের পছন্দের উইকেটেও ব্যর্থ! এই অবস্থায় মোস্তাফিজকে ‘অটো চয়েজ’ ভাবার সময় শেষ হয়েছে বলে মনে করেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মোস্তাফিজ কি এখনও দেশসেরা পেসার? তাকে যে অটো চয়েজ ধরা হয়, সেই প্রথা কি ভাঙার সময় এসেছে- এমন প্রশ্নে সুজনের মন্তব্য, ‘হয়তোবা।’ সুজন আরও বলেছেন, ‘আমরাও এটা নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন। আমরাও যে জানি না, তা না। প্রশ্নটা একদম নতুন না আমাদের কাছে। আমরা যে এটা নিয়ে ভাবছি না, তা না।’

তবে মোস্তাফিজের ওপর থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও আস্থা হারায়নি বলে জানালেন সাবেক অধিনায়ক, ‘তবে আমি বিশ্বাস করি, সে এখনও সেরাদের একজন। ওর বোলিংয়ে যে বৈচিত্র্য আছে, সেটা হয়তো আমাদের অনেক পেসারের নেই। হয়তো ওই বৈচিত্র্য কাজে লাগছে না বা ও বাস্তবায়ন করতে পারছে না। কিছু একটা হচ্ছে।’

মোস্তাফিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভীষণ হতাশাজনক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে রান দিয়েছেন যথাক্রমে ওভার প্রতি ৯.২৫ ও ১৩.৫০ করে। দ্বিতীয় ম্যাচে কোটা পূর্ণ করলেও তৃতীয় ম্যাচে তাকে বোলিং দেওয়ার সাহস পাননি অধিনায়ক। উইকেট পাননি একটিও। এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ম্যাচে যথাক্রমে রান দিয়েছেন ওভার প্রতি ১২.৫০, ৭.৫০ ও ৫.৫০ করে। উইকেট নিয়েছেন ৪টি।

মঙ্গলবার এশিয়া কাপেও মোস্তাফিজের খরুচে বোলিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। ওই ম্যাচে ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। মোস্তফিজের খরুচে বোলিং নিয়ে সুজন বলেছেন, ‘এটা খুব উদ্বেগজনক যে, গত ১৫-১৬ ম‍্যাচে মোস্তাফিজ সেভাবে উইকেট পাচ্ছে না, ইকোনমি রেটও ভালো না। তবে অটো চয়েজ বলে কিছু নেই। তারপরও এই ফরম‍্যাটে আমরা সবসময় ওকে এগিয়ে রাখি, ওর অভিজ্ঞতা, আইপিএলে খেলে, সবকিছু মিলিয়ে এই সংস্করণে আমাদের ফাস্ট বোলারদের মধ‍্যে সবচেয়ে বেশি ম‍্যাচ খেলেছে মোস্তাফিজই। ওই হিসেবে মোস্তাফিজকে এগিয়ে রাখা হয়।’

তবু পুরনো মোস্তাফিজকে পাওয়ার প্রত্যাশা সুজনের কণ্ঠে, ‘মোস্তাফিজ ভালো করেনি তা না, তবে গত দুই বছর সে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছে না, এটা আমাদের সবার জন‍্য উদ্বেগের ব‍্যাপার। তবে আমি বিশ্বাস করি, ফর্ম ইজ টেম্পরারি, ক্লাস ইজ পারমানেন্ট। আমি এখনও বিশ্বাস করি, মোস্তাফিজ এখান থেকে বের হয়ে আসবে, দলকে আবার ম‍্যাচ জেতাবে। এই বিশ্বাসটা আমাদের সবারই আছে।’