মুশফিকের অবসর প্রসঙ্গে বিসিবি বলছে ‘সিদ্ধান্ত হয়নি’

এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর তীব্র সমালোচনার মুখে রবিবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মুশফিকুর রহিম। সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণার আগে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের বরাবর ই-মেইল করে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন উইকেট কিপার এই ব্যাটার। জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের তালিকাতে মুশফিকের নাম ছিল।

বিসিবি দাবি করছে মুশফিকের অবসরের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।  মুশফিকের অবসরের সিদ্ধান্ত বিসিবি গ্রহণ করবে কিনা সেটি আলোচনা করে জানানো হবে।

এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা একটা ই-মেইল পেয়েছি। সে (মুশফিক) জানিয়েছে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে চায়। তবে টেস্ট ও ওয়ানডের জন্য সে অ্যাভেইলেবল। কারণ হিসেবে জানিয়েছে এই দুইটা ফরম্যাটে সে ফোকাস করতে চায়। আমি বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি। যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়নি, এই মুহূর্তে কিছু বলা কঠিন।’

যদিও শেষ পর্যন্ত মুশফিকের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখন পর্যন্ত সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা মুশফিককে তাই মিস করার কথা জানান ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান, ‘তবে বিশ্বকাপে নিশ্চিতভাবে আমরা তাকে মিস করব। বিশ্বকাপের জন্য কিছু প্লেয়ার আমরা ঠিক করেছি, সে তার মধ্যে একজন। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ২০ জনের মতো প্লেয়ারের একটা সেট করা হয়েছে সে ওই ২০ প্লেয়ারের একজন। পারফরম্যান্স হয়ত কারও একটা সিরিজে কিংবা একটা টুর্নামেন্টে ভালো খারাপ হবে। পরের টুর্নামেন্টে ভালোও হতে পারে।’

জালাল ইউনুস মনে করেন মুশফিক তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া উচিত, ‘সে (মুশফিক) এতদিন যেটা করেছে, যদি এখন না থাকে (জাতীয় দলে) তারপরও তাকে ওই সম্মানটা দিতে হবে। অতীতে কী করেছে আমরা সবাই জানি। হয়তো তার গড় অতোটা ভালো নয়। কিন্তু তার কন্ট্রিবিউশানটা মনে রেখে তাকে আমাদের সম্মান এবং মূল্যায়ন করা উচিত। ১৫ বছর খেলে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে খেলবে না, এটা তার জন্য কিন্তু কঠিন সিদ্ধান্ত। একই সময়ে বোর্ড এটা একসেপ্ট করবে কী করবে না এটাও কঠিন সিদ্ধান্ত।’

হুট করে অবসরের শুরুটা করেছিলেন তামিম ইকবাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে সামাজিক মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। ঠিক ১ মাস ১৮ দিনের ব্যবধানে সতীর্থের দেখানো পথেই হাঁটলেন মুশফিকুর রহিম।  তবে এভাবে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালো চোখে দেখছেন না বিসিবির এই পরিচালক, ‘এ ধরনের অবসর না হলেই ভালো। আপনি যদি অন্য দেশগুলোতে দেখেন, একটা প্লেয়ার জানে সে কোন ফরম্যাট কত দিন খেলবে। তারা কিন্তু ৬ মাস  কিংবা এক বছর আগে বলে দেয়, যে অমুক সিরিজেই আমার শেষ ম্যাচ। আমাদের কাছেও যদি কেউ এভাবে বলে দিত, তাহলে আমরা তাকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে পারতাম।’