আইরিশদের উড়িয়ে দারুণ শুরু বাংলাদেশের মেয়েদের

প্রথমে নিগার সুলতানা ও শামিমা সুলতানার ব্যাটে চড়ে ১৪৩ রান তোলে বাংলাদেশ। পরে সালমা-সানজিদা-নাহিদার ঘূর্ণিজাদুতে ১২৯ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা। সব মিলিয়ে ব্যাটিং-বোলিংয়ের দারুণ কম্বিনেশনে ১৪ রানে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে আইসিসি উইমেন্স টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফায়ারে দারুণ শুরু করলো বাংলাদেশ।

৫৩ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ব্যাটিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে শুরুটা একদম খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। ১৬ বলে ৩ চারে ১৬ রান করে রিচার্ডসনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হন মোর্শেদা খাতুন। এই ওপেনারের বিদায়ের পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা ওপেনার শামিমা সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ৬২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। ৪০ বলে ৭ চারে ৪৮ রান করে আউট হন শামীমা। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি দেখা পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির। ৫৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান করে আউট হয়েছেন। সোবহানা মোস্তারি ৭ বলে ৪ রান করেন। রিতু মনি ৫ বলে ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে আইরিশদের ১৪৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।

১৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে খেই হারায় আইরিশরা। ৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে আয়ারল্যান্ড। লরা ডেলানিকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার হ্যামি হান্টার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ৪৫ রানের জুটির পর সালমা খাতুন রান আউট করেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা হ্যামি হান্টারকে (৩৩)। কিছুক্ষণ পর সালমার শিকার হন লরা ডেলানি (২৮)।

এরপর ইমার রিচার্ডসন একাই লড়াই চালিয়ে যান। নবম উইকেট হিসেবে রিচার্ডসন রান আউট হতেই ম্যাচটি চলে আসে হাতের মুঠোয়। ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন আইরিশ এই ব্যাটার। যদিও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে ১৯.৪ ওভারে ১২৯ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সালমা খাতুন ১৯ রানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া সানজিদা আক্তার ও নাহিদা আক্তার নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।