মিঠুনের সেঞ্চুরি ম্লান করে দিলেন দিপু-মাহমুদউল্লাহ

ফাইনালে যাওয়ার পথে কঠিন সমীকরণের সামনে ছিল মোহাম্মদ মিঠুনের বিসিবি সেন্ট্রাল জোন। কিন্তু সমীকরণ মেলানোতো দূরের কথা, ম্যাচটিই জিততে পারলো না! গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রান পেয়েছেন কেবল মিঠুন। তার সেঞ্চুরিতে ২২৮ রান করেছে সেন্ট্রাল জোন। এর পর বিসিবি নর্থজোনের শাহাদাত হোসেন দিপু ও মাহমুদউল্লাহর দারুণ এক ইনিংসে ম্লান হয়ে যায় তার লড়াকু ইনিংসটি। সেন্ট্রালজোনকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিসিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মাহমুদউল্লাহর নর্থজোন। দিনের আরেক ম্যাচে মুশফিক-তামিমদের নিয়ে গড়া ইসলামী ব্যাংক ইস্টজোনকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বিসিবি সাউথজোন।

এই ম্যাচগুলোর পর বিসিবি সাউথ জোন ও বিসিবি নর্থ জোনের ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিবা রাত্রির ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।

বিকেএসপিতে তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বিসিবি সেন্ট্রালজোন। কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়া কোন ব্যাটারই রান করতে পারেননি। মিঠুনের অপরাজিত ১২১ রানে দাঁড়িয়ে সেন্ট্রালজোন কোনওরকমে ২২৮ রান সংগ্রহ করে। ১১৪ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১২১ রানের ইনিংস খেলেন মিঠুন। মূলত শফিকুল ইসলাম, সাইফউদ্দিন ও সৈকত আলীর বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পরে সেন্ট্রালজোনের ব্যাটিং।

জবাবে খেলতে নেমে নর্থজোন শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ৪০ রানে টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। এনামুল হক বিজয় (০), লিটন দাস (৯), ফজলে মাহমুদ রাব্বি (১১) রান করেন। এরপর চতুর্থ উইকেটে শাহাদাত হোসেন দিপু ও মাহমদুউল্লাহ মিলে ১৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে আসেন। দিপু সেঞ্চুরি (১০১) পেলেও মাহমুদউল্লাহ ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। ১৫১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় দিপু নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। অন্যদিকে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ ৯৮ বলে ৯৬ রান করে আউট হন। এই দুই জনের ইনিংসের ওপর ভর করে ৩ ওভার আগেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় নর্থজোন।

বিকেএসপিতে অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক ইস্টজোন ও বিসিবি সাউথজোন। কামরুল ইসলাম রাব্বী ও জিয়াউর রহমানের বোলিং তোপে ১৭০ রানে অলআউট হয় ইস্টজোন। মুশফিক খেলেন সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস।কামরুল ইসলাম ৩৭ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। জিয়াউর রহমান নেন ২৪ রানে দুটি উইকেট।

১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নাঈম শেখের ৮২ রানে ভর করে বিসিবি সাউথজোন ৫ ওভার আগেই ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে। ৯৩ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় নাঈম নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।

ইস্টজোনের শেখ মেহেদী হাসান তিনটি উইকেট নিয়েছেন। বাকি উইকেটটি নেন তানভীর ইসলাম।