একাদশে থেকেও ব্যাটিংয়ে নামেননি আফিফ, চট্টগ্রাম হারলো ৫৫ রানে

৪৭ রানে পড়ে যায় ৩ উইকেট। চাপে পড়ে যাওয়ার মুহূর্ত থেকেই লড়াই চালিয়ে গেলেন শোয়েব মালিক। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল রংপুর রাইডার্স। জবাবে ১২৪ রানেই শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস।

অবশ্য ৫৫ রানে ম্যাচ জিতেও আলোচনায় নেই রংপুর রাইডার্স। ম্যাচের পর আলোচনায় চলে আসেন আফিফ হোসেন! কারণ, একাদশে থাকার পরেও চট্টগ্রামের হয়ে বিস্ময়করভাবে ব্যাটিং করতে নামেননি তিনি! তাই স্কোরবোর্ডেও লেখা হয়েছে ‘অ্যাবসেন্ট হার্ট’। ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, শরীরে জ্বর থাকায় তাকে হোটেলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অথচ শুরুতে ২ ওভার বোলিং করে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি!

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজই বিপিএলের তৃতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। আগে ব্যাটিং করে চট্টগ্রামকে ১৮০ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। বিপরীতে ১১ রানে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে শুরুতেই ভেঙে পড়ে চট্টগ্রামের টপ অর্ডার। এরপর চতুর্থ উইকেটে দরবেশ রসূলী ও শুভাগত হোম মিলে ৬৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রসূলী ১৭ বলে ২২ রান করে আউট হয়েছেন।

এরপর জিয়াউর রহমানকে (২৬) নিয়ে ২৬ রানের জুটি গড়েন শুভাগত। এক প্রান্ত আগলে রেখে চেষ্টা চালালেও বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২১ বল আগেই ১২৪ রানে ‘অলআউট’ হয়ে যায় চট্টগ্রাম। শুভাগত ৩১ বলে ৫২ রান করে আউট হয়েছেন। অথচ দলের এমন বিপর্যয়েও আফিফ হোসেনকে মাঠে নামানো হয়নি। তাতে ১৬.৩ ওভারেই শেষ হয় চট্টগ্রামের ইনিংস। 

রংপুরের বোলারদের মধ্যে হারিস রউফ ১৭ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। রাকিবুল হাসান ২৪ রানে নেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করেছে। ইনজুরি কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এদিন ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মালিক। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ২৯ বলে। ৫টি করে চার ও ছয়ে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল। এছাড়া আজমতুল্লাহ ওমরজাই ২৪ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। ৪টি ছয় ও ১টি চার হাঁকিয়েছেন এই আফগান।

অন্য ম্যাচের মতো আজও নাঈম ধীরগতির ইনিংস খেলেছেন। ২৯ বলে ৩৪ রান করেন ওপেনিংয়ে নেমে। আরেক ওপেনার শেখ মেহেদী হাসান ১ রানে আউট হয়েছেন। ওপেনিং থেকে তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমনও ব্যর্থ ছিলেন। ১০ বলে ৬ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার মেহেদী হাসান রানা। তবে তিনি ছিলেন বেশ খরুচে। ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৯টি। এছাড়া ২টি উইকেট নিয়েছেন শুভাগত হোম।