নিজ শহরে ফিরেও ভাগ্য বদলায়নি ঢাকার

খুলনা টাইগার্সকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছিল ঢাকা ডমিনেটরস। এরপর ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে আরও ৫টি ম্যাচ খেলেছে নাসির হোসেনের দল। কিন্তু কোথাও জয়ের দেখা পায়নি তারা। চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে ঢাকায় ফিরেও একই পরিণতি দলটির। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে স্বাগতিকরা। কুমিল্লার দেওয়া ১৬৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১০৪ রানে থেমে যায় তারা। ফলে ৬০ রানে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করলো কুমিল্লা।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে এবার টপ অর্ডারে উন্নতি হয়নি ঢাকার। পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহকে উড়িয়ে এনেছিল কুমিল্লা।  তার পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি ঢাকার টপ অর্ডার। অবশ্য পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই নাসিররা ভুগেছেন টপ অর্ডারের ব্যর্থতায়।  সোমবারও ৪২ রান তুলতেই চার ব্যাটারকে হারায় ঢাকা। আগের ম্যাচগুলোতে নাসির, মিঠুন ও আরিফুলরা দৃঢ়তা দেখালেও আজ ব্যর্থ। টপ অর্ডারে খেলা ওসমান ঘানি একাই লড়াই করেছেন। ওসমানের ৩৪ বলে ৩৩  রানের উপর দাঁড়িয়ে ঢাকা শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানে থামে। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাসির হোসেন (১৭)।  ১৪ বলে ১৪ রান আসে পেসার আল আমিনের ব্যাট থেকে।

কুমিল্লার বোলারদের হয়ে নাসিম শাহ ৮ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন। খুশদিল শাহ নেন ২৪ রানে দুই উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার, জনসন চার্লস ও মুকিদুল ইসলাম।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় তিন বারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে কুমিল্লাকে বেশ চাপে রাখে ঢাকা। ওপেনার রিজওয়ান ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন ও ইমরুল বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি। ৩১ রানের জুটি গড়ে লিটন আউট হন। ২০ বলে ৩ চারে ২০ রানের ইনিংস খেলেন উইকেট কিপার ব্যাটার। সঙ্গীকে হারানোর পর জনসন চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে ইমরুল ২৩ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন। ইমরুল ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হলে চার্লসও (৩২) দ্রুত বিদায় নেন। শেষ দিকে খুশদিল শাহর ১৭ বলে ৩০, জাকের আলী অনিকের ১০ বলে ২০ এবং আবু হায়দারের ৮ বলে ১১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করতে পারে কুমিল্লা।

ঢাকার বোলারদের মধ্যে নাসির হোসেন ১৯ রানে নেন দুটি উইকেট। এছাড়া তাসকিন, আল আমিন ও আমির হামযা নেন একটি করে উইকেট।