সাকিবদের হারিয়ে প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো ঢাকা

বিপিএলে উড়তে থাকা সাকিবদের ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে তাসকিন-সৌম্য-নাসিরদের নিয়ে গড়া ঢাকা ডমিনেটরস। ঢাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৫৬ রানে অলআউট হয়েছে বরিশাল। ১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঢাকা ৭ বল আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে। তাতে ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে ঢাকা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করে তারা। ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা পরিবর্তন এনে সৌম্যর সঙ্গে মিঠুনকে পাঠানো হয় ওপেনিংয়ে। এই বদলের ফলও মেলে। ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৪ রান। ২২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করে আউট হন সৌম্য। এরপর মিঠুন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলে ২৯ রানের জুটি গড়েছেন। মিঠুন ৩৬ বলে ৫৪ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটি। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। এরপর ১৯ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের সদস্য মামুন (২৬)। 

বাকি পথটুকু অধিনায়ক নাসির একাই পাড়ি দিয়েছেন। নাসির ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থেকেছেন। আর অ্যালেক্স ব্লেক ১২ বলে খেলেন ১৫ রানের ইনিংস।

ফরচুন বরিশালের বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ১৮ রানে নেন দুটি উইকেট। এছাড়া সানজামুল ইসলাম দুটি এবং করিম জানাত নেন একটি উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলটি তার পরেও দেড়শো পার করেছে। দলীয় ৯২ রানে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা এনামুলের (৪২) বিদায়ে পতন হয় পঞ্চম উইকেটের। এর পর মাহমুদউল্লাহ ও সালমান হোসেনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং-ই দেড়শো ছাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। ১৭ ওভার পর্যন্তও তাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ১১১। পরের দুই ওভারে ঝড় তুলে খেলেছেন সালমান-মাহমুদউল্লাহ। ১৮তম ওভারে চতুর্থ চার মারার পরের বলে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়েছেন। ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সালমান খেলেন ১২ বলে ১৪ রানের ইনিংস। করিম জানাত নেমেই ঝড় তোলেন। শরিফুল ইসলামকে দুটি ছয় ও চার মারেন পরপর তিন বলে। ৫ বলে খেলেন ১৭ রানের ক্যামিও একটি ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৬। 

বরিশালের হয়ে আমির হামজা সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছে।