আজকের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিং করেছেন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে ওপেনার হিসেবে নামতে দেখে আমার দলের সবাই আশ্চর্য হয়েছে। আমিরাতের পক্ষে আমি কখনই ওপেন করিনি। কয়েক দিন আগে হল্যান্ডের বিপক্ষে হারার পর একটি ম্যাচে কোচকে আমি বলেছিলাম আমাকে ওপেনার হিসেবে পাঠাতে। আমাকে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন- ‘তোমার কি আত্মবিশ্বাস আছে।’ উত্তরে আমি বলেছিলাম ৫টি বল পেলেই যথেষ্ট। আমি সেগুলো মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেবো।’
নিজের খেলা ইনিংস নিয়ে মুস্তফা বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমিরাতের সেরা ক্লাব দলের বিপক্ষে আমি এ ধরনের একটি ইনিংস খেলেছিলাম। ৭০ রান করেছিলাম এবং সেই স্মৃতিটা মাথায় নিয়েই আমি আজ খেলতে নামি। সাধারণত আমি এত বিধ্বংসী ইনিংস খেলি না। আর কোচ এবং ম্যানেজার সবাই আমাকে সেই সাহস দিয়েছেন যে তুমি যদি আউটও হয়ে যাও তাহলে এ নিয়ে চিন্তা করো না। তুমি নিজের খেলা খেলো। আগামী ম্যাচে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’
আমিরাতের ক্রিকেটের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে মুস্তফা বলেন, ‘আমিরাত ক্রিকেটে একটি পালাবদলের সময় চলছে। আমাদের বিখ্যাত খেলোয়াড় খুররাম খান এবং সাকিব আলী অবসর নেওয়ার পর নতুন ক্রিকেটার আসছে। আমার মনে হয় আমরা যেহেতু যথেষ্ট টি-টোয়েন্টি খেলি। সে হিসেবে আমরা শক্তিশালী দল।’
নিজের পরিচিতি তুলে ধরে কষ্টের জীবন নিয়েও কথা বলেন এই ক্রিকেটার। বলেন, ‘আমার জন্ম পাকিস্তানে। আমি খুব ছোট বেলায় আমিরাতে চলে যাই। ১২ বছর বয়সে আমার বাবা মারা যান। অনেক কষ্ট করে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। এখন মনে হয় আমার সময় এসেছে। আমি আমিরাতের হয়ে খেলার স্বপ্ন পূরণ করছি।’
/আরএম/এফআইআর/