ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন লিটন

২০১৯ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান লিটন দাসের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটে রান খরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মোটামুটি রান পেলেও এশিয়া কাপে ব্যর্থ হয়েছেন। এশিয়া কাপের তিন ম্যাচে তার রান ১৬, ১৫ ও ০! বিশ্বকাপের আগে রানে ফেরার চেষ্টায় আছেন তিনি। 

২০১৯ সালের পর ৪৩ ম্যাচ খেলে ৩৯.৬৮ গড়ে ১ হাজার ৫০৮ রান করেছেন লিটন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ৮৭.৬২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন। সমান ম্যাচে মুশফিকুর রহিম করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৭৯ রান। এই পরিসংখ্যান ধাক্কা খেয়েছে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে। এই সময়ে স্রেফ ২৮. ৬২ গড় ও ৯২.৩৩ স্ট্রাইকরেটে ২২৯ রান এসেছে লিটনের ব্যাটে। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দুটি। শূন্য রানে আউট হয়েছেন দু’বার।

তবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে লিটন জানালেন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি, ‘আমি চেষ্টা করছি, প্র্যাকটিস করছি কীভাবে ফাইন্ড আউট করা যায়। আশা করছি, তাড়াতাড়ি কামব্যাক করতে পারবো। আত্মবিশ্বাসের বিষয় না। প্র্যাকটিস করছি, দেখা যাক কী করতে পারি।’

লিটনের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে লিটনের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত ক্রিকেট ভক্তরা। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এই নিয়ে তীব্র সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি। লিটন জানালেন, এইসব সমালোচনা তিনি দেখেন না, ‘এখন এত পরিমাণে খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া দেখার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই নেই। যে যার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, পরিবারকে সময় দেয়। আমার মনে হয় না কোনও খেলোয়াড়কে এসব প্রভাবিত করে।’
 
ভারতের বিপক্ষে দারুণ খেলেছেন নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান। অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবও ছিলেন দুর্দান্ত। তাদের প্রশংসা করে লিটন বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যেক বোলার ভারতের বিপক্ষে ভালো করেছে। সাকিবও প্রথম ম্যাচ খেলে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সব মিলে বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কিছু বলার নেই। সবাই শতভাগ দেওয়ার কারণেই ম্যাচটা জিতেছি।’