সান্ত্বনার জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে আফগানিস্তান 

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা। শেষ ম্যাচেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে হোয়াইটওয়াশের আশায় ছিল। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৩ রানের সান্ত্বনার জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।

দুই ইনিংসের শেষ দুই ডেলিভারি পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের সময় শেষ দুই বলে ১০ রান নিতে পারে সফরকারী দল। শ্রীলঙ্কার রান তাড়ার সময়ও শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। কিন্তু কামিন্দু মাত্র ৬ রানই নিতে পারেন। তাও সেটা এসেছে শেষ বলে! ডাম্বুলায় শেষ ওভার পর্যন্ত ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন এই কামিন্দু মেন্ডিস-ই। 

শুরুতে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ৪৩ বলে করা ৭০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস আফগানিস্তানকে বড় স্কোরের মঞ্চ গড়ে দেয়। ওপেনিং পার্টনার হজরতউল্লাহ জাজাইকে সঙ্গে নিয়ে ৮৮ রান যোগ করেন তিনি। ২২ বলে ৪৫ রানে জাজাই ফিরলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তার পর একাই ইনিংসর গতিপথ নির্ধারণ করেছেন গুরবাজ। তার ফেরার পর ওমরজাই ৩১, নবী অপরাজিত ১৬ রানে অবদান রেখেছেন। তবে শেষ দুই বলে অভিষিক্ত মোহাম্মদ ইশাকের ব্যাট থেকে আসা ১০ রানই পরে ভাগ্য নির্ধারক বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাতে ৫ উইকেটে ২০৯ রানের সংগ্রহ পায় তারা। ইশাক ৮ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। 

শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩৭ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন আকিলা ধনাঞ্জয়া। ৪২ রানে দুটি নেন মাথিশা পাথিরানাও। 

জবাবে শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলে। ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কার ঝড় ব্যাটিং পথ দেখাতে থাকে স্বাগতিকদের। দুর্ভাগ্য ৩০ বলে ৬০ রান তুলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে রিটায়ার হার্ট হয়েছেন তিনি। তার পর ম্যাচটা টেনেছেন মূলত কামিন্দু। জেতাতে না পারলেও ৩৯ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থেকেছেন লঙ্কান এই ব্যাটার। তার ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছয়ের মার। শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে করতে পারে ২০৬ রান। আফগানিস্তানের হয়ে ৩৫ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী। একটি করে নিয়েছেন ফরিদ আহমেদ, নূর আহমেদ ও কায়েস আহমেদ। 

বিস্ফোরক ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন গুরবাজ। আর ১০২ রান ও ৪ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।