ভুল শুধরে সফল অঙ্কন, জিতেছে মোহামেডান

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রানের প্রয়োজন ছিল। তখন ক্রিজে ছিলেন অঙ্কন। পঞ্চম বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হতেই মোহামেডান হেরে যায় ৩ রানের ব্যবধানে। বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ রাউন্ডে এসে আগের ভুল করেননি তিনি। ঠাণ্ডা মাথায় অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস খেলে পারটেক্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। ৯৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে পারটেক্স স্পোর্টিংকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মোহামেডান। আবু হায়দার রনি, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও আরিফুল হকের বোলিংয়ে ১৮৭ রানে অলআউট হয়েছে তারা। অধিনায়ক মিজানুর রহমানের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস আসে। এছাড়া তানভীর আহমেদ ৪১ ও আজমির আয়াত ২৪ রানের ইনিংস খেলেছেন।

মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে ৩২ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি। এছাড়া রাব্বি ও আরিফুল প্রত্যেকে নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

১৮৮ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩৩ রানে দুই ওপেনারকে হারায় মোহামেডান। ইমরুল কায়েস ৯ ও রনি তালুকদার ১৬ রানে আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে ১০৬ রানের জুটি গড়ে জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন। প্রান্তিক ৭৭ বলে ৭ চারে ৬০ রান করে আউট হন। মোহামেডান এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও প্রান্ত আগলে লড়াই করে গেছেন অঙ্কন। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে ৪৬ বল আগে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। এই উইকেটকিপার ব্যাটার ৯৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪ উইকেটের এই জয়ের পর ৪ ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের অবস্থান টেবিলের ৫ নম্বরে।

পারটেক্সের আজমির তিনটি এবং মোহর শেখ দুটি উইকেট নিয়েছেন।