দিল্লিকে হারিয়ে আইপিএলে শুভ সূচনা পাঞ্জাবের

অভিষেক পোরেলের শেষ দিকের ঝড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল। কিন্তু জীবন পাওয়া স্যাম কারান সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন দারুণ ব্যাটিংয়ে। ৪ বল হাতে রেখে চার উইকেটে জিতে আইপিএল শুরু করেছে পাঞ্জাব কিংস।

দিল্লি আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নারের আক্রমণাত্মক জুটি ৩৯ রানেই ভেঙে যায়। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে মার্শ (২০) আউট হন। 

হার্শাল প্যাটেল ও আর্শদীপ সিংয়ের বলে ১৪তম ওভারে ১১১ রানে ৫ উইকেট হারায় দিল্লি। অথচ ওয়ার্নারের (২৩) ও শাই হোপের (৩৩) ব্যাটে ভালো অবস্থানে ছিল তারা। 

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল দিল্লি। ১৯তম ওভারে ১৪৭ রানে ৮ উইকেট হারায় তারা। শেষ ৯ বলে অভিষেক পোরেল বাজিমাত করেন। তার ১০ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান করে দিল্লি। তারা হারায় ৯ উইকেট। ২০২২ সালে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ঋষভ পান্ত মাঠে ফিরে ১৩ বলে ১৮ রান করেন।

আর্শদীপ ও হার্শাল দুটি করে উইকেট নেন।

লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ ওভারে শিখর ধাওয়ান (২২) প্যাভিলিয়নে ফেরেন। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৪ রানের। একই ওভারে রানআউট হন বেয়ারস্টো (৯)।

ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার প্রভসিমরান সিংকে নিয়ে স্যাম কারান ৪২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই ধাক্কা সামাল দেন। প্রভসিমরান (২৬) বিদায় নেওয়ার পর জিতেশ শর্মার (৯) কাছ থেকে সহযোগিতা পাননি ইংলিশ ব্যাটার।

তবে লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়ে পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরান কারান। ১৯তম ওভারে জোড়া আঘাত করে ছোট্ট ধাক্কা দেন খলিল আহমেদ। টানা দুই বলে ফেরান কারান ও শশাঙ্ক সিংকে। ৪৭ বলে ৬৩ রান করেন ৩৩ রানে জীবন পাওয়া কারান। শশাঙ্ক মারেন ডাক। ওয়ার্নার ক্যাচ না ফেললে হারপ্রীত ব্রারও প্যাভিলিয়নে ফিরতেন।

তবে শেষ ওভারে ৬ রানের প্রয়োজন কঠিন হয়নি। প্রথম দুটি বল সুমিত কুমার ওয়াইড দিলে কাজ সহজ হয়ে যায়। দ্বিতীয় বলে লিভিংস্টোন ছক্কা মেরে পাঞ্জাবকে জেতান। ২১ বলে দুই চার ও তিন ছয়ে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইংলিশ ব্যাটার।

১৯.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান করে পাঞ্জাব।