বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখা গেলো একই পরণতি। আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশকে ৯৭ রানে অলআউট করেছে অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দল। জবাবে ১৫৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। ৬ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে অজি দল।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় কেটেছে স্বাগতিকদের। আগের ম্যাচে ৯৫ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছে ৯৭ রানের ইনিংস। মামুলি এই লক্ষ্যের বিপরীতে বাংলাদেশের শুরুটা খারাপ না হলেও ছোট পুঁজিতে চাপ তৈরি করা যায়নি। ফোবি লিচফিল্ডকে (৫) রান আউটে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভেঙেছিলেন ফাহিমা খাতুন। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হওয়ার পর অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিও সাজঘরে ফেরেন বক্তিগত ১৫ রান করে। এরপর বেথ মুনি ও এলিস পেরি মিলে ১৫ রানের জুটি গড়েন। বেথ মুনিকে  ৮ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সুলতানা খাতুন। তারপর টাহলিয়া ম্যাকগ্রা ১২ রান করে রান আউটের শিকার হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া ৬০ রানে ৪ উইকেট হারালেও তাতে বিপদের মুখোমুখি হতে হয়নি। বাকি পথটা অনায়াসেই পারি দিয়েছেন এলিস পেরি ও অ্যাশলে গার্ডনার। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে অজিরা ১৫৭ বল আগেই ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছে।

ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়ে খুব ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। সুলতানা খাতুন ও রাবেয়া খান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। দলের টপ অর্ডার চার ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। স্কোর ছিল ৭, ৩, ৫ ও ১। অস্ট্রেলিয়াকে অষ্টম ওভারে গিয়ে উইকেট দিলেও রান তুলতে পারছিলেন না ক্রিকেটাররা। ফারজানা হক পিকিংতো টেস্ট খেলার মন্ত্র নিয়ে নেমেছিলেন। ৫২ বলে তিনি খেলেছেন ৭ রানের ইনিংস। শুরুর এই চাপ থেকে পরে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার ঘূর্ণি জাদুতে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।

নাহিদার শেষ দুই জুটিতেই বাংলাদেশ ৯৭ রান করতে পেরেছে। নয়তো আরও কম রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়তে হতো। নবম উইকেটে সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ১৬ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নাহিদা আক্তার। ৫ রানে সুলতানার বিদায়ে এই জুটি বেশি লম্বা হয়নি। শেষ জুটিতে মারুফাকে সঙ্গে নিয়েও গড়েন ২০ রানের জুটি। নাহিদার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২২ রান। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মারুফা।
 
মিরপুরের উইকেট অজি স্পিনারদের ঘূর্ণির যেন কোনও জবাব ছিল না জ্যোতিদের। পেসার মেগান নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। বাকি উইকেট ঢুকেছে স্পিনারদের পকেটে। সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন আজই একাদশে আসা সফি মলিনেক্স ও গার্ডনার। ২ উইকেট নেন জর্জিয়া।