'ফাইনালে' বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওমান ও বৃষ্টি

maxresdefaultজয় পেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠবে বাংলাদেশ। ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও সরাসরি সুপার টেনে খেলবে টাইগাররা। তবে ম্যাচ যদি মাঠে গড়ায় তাতে যে দল হারবে তারাই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবে! সে অর্থে এই ম্যাচটি বাংলাদেশ ও ওমান দুই দলের জন্যই অলিখিত ফাইনাল।
এমন সমীকরণ নিয়ে আজ রাত ৮টায় ক্রিকেট বিশ্বের নবাগত দল ওমানের মুখোমুখি টাইগাররা। ধর্মশালার আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবারও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার রাত থেকেই ধর্মশালার আকাশে বৃষ্টি ঝরছে। সেটা বড় আকারের না হলেও আবহাওয়া খারাপের দিকেই রয়েছে। সেই বৃষ্টিতে বাংলাদেশ-ওমান ম্যাচও ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ভেস্তে গেলে ওমানের সমান ৪ পয়েন্ট নিয়েও রান রেটে এগিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করবে।

আর যদি ম্যাচটি হয়, তাহলে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। কোনওভাবে ওমানের কাছে যদি হেরে যায় টাইগাররা, তাহলে সব স্বপ্ন, আশা এক নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে! এখানেও সেই ২০১৪ সালের স্মৃতিই সবার চোখের সামনে ভাসছে। টুর্নামেন্টে সেবার বাংলাদেশ ছিল স্বাগতিক দল। বাছাইপর্বের গ্রুপে সবচেয়ে শক্তিশালী দলও ছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তান, নেপালকে উড়িয়ে দিতে পারলেও শেষ ম্যাচে গিয়ে হংকংয়ের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ! শেষ পর্যন্ত নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে সুপার টেনে উঠে বাংলাদেশ। 

সেবার হংকং প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। প্রথমবারেই টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে বাজিমাত করেছিল তারা। এবার ওমানকে নিয়েও সেই একই ভয়ই থাকছে। প্রথমবারের মতো খেলছে দলটি। প্রথমবারেই আয়ারল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশকেও হারানোর স্বপ্ন দেখছে তারা। ওমান অধিনায়ক সুলতান আহমেদতো বলেই দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশকে হারাতে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’এছাড়া বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালকে নিয়ে তাদের রণকৌশল সাজানো আছে বলে জানান ওমানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশও ওমান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। ঠিক যেমনটি ২০১৪ সালে হংকং সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না বাংলাদেশের এবং তারা হেরেছিল। এবারও সেইরকম অঘটনের সম্মুখীন হবে নাতো মাশরাফিরা? আশার কথা মাশরাফিরা এখন টি-টোয়েন্টিতে শক্তিশালী দল হয়ে উঠেছে। কিন্তু আনকোরা একটি দল যে কোনও দলের বিপক্ষে যে কোনও মুহূর্তে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। ওমান যদি রবিবার সেইরকমই কিছু করে বসে তবে স্বপ্নভঙ্গ হবে বাংলাদেশের।

বাংলাদেশকে তাই সতর্ক হয়েই এগিয়ে যেতে হবে। ওমান দুর্বল দল হোক, তবুও নিজেদের সবটুকু উজাড় করেই খেলতে হবে টাইগারদের। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি অবশ্য বলেছেন, ‘দুই দলের জন্যে চাপ তৈরি হয়ে গেছে। দুই দলেরই তিন পয়েন্ট। তবে রান রেটে আমরা এগিয়ে আছি। আমরা যেভাবে খেলে আসছি, সেভাবে খেলতে পারলেই হবে।’

এদিকে শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক বলেন, ‘কোনওভাবেই আমরা ওমানকে হালকা ভাবে নিচ্ছি না। আমরা তাদের পাকিস্তান ও ভারতের মতো করেই দেখছি।’ পরিসংখ্যান খুব কঠিন আবার সহজও হয়ে দাঁড়িয়েছে। সহজ হিসেব হচ্ছে-বাংলাদেশ না হারলেই চলে যাচ্ছে সুপার টেনে। আবার ম্যাচ না হলেও চলে যাবে সুপার টেনে। তবে হারলেই বিপদ। হবে স্বপ্নভঙ্গ!

/এমআর/