শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান তিনটি করে ছক্কা-চারে ৩০ রান তুলে বরিশালের কাছ থেকে ম্যাচটি ছিনিয়ে নেন। অবিশ্বাস্য হারের পর বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে মেজাজ হারাতে দেখা যায়। তবে ঠিক কী কারণে রেগে গিয়েছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। যদিও বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবাল বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন। আর রংপুরের অধিনায়ক সোহান জানালেন, তামিমের মেজাজ হারানোর কারণ তার জানা নেই।
জানা গেছে, ম্যাচ শেষে রংপুরের ড্রেসিংরুমে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে লেগে যায় তামিমের। এ সময় রংপুরের অধিনায়ক সোহান এবং টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিম তাকে থামান।
তামিমের মেজাজ হারানোর কারণ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বলেছেন, ‘ম্যাচ হারলে ইমোশনটা থাকে, সিরিয়াস কোনও কিছু না।’
অন্যদিকে রংপুরের অধিনায়ক জানান, ‘এটা আমি খুব কাছ থেকে দেখি নাই। কিন্তু আমিও এদিকে আসার পর দেখেছি, মানে শেষপর্যায়ে যখন ফিরেছি। আমি আসলে যাওয়ার পর বুঝতে পারবো যে কী নিয়ে হয়েছে। কিন্তু কিছু একটা হয়েছে, আমিও এটা দেখেছি।’
এর আগে সোহানের দোষে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হয়েছেন শেখ মেহেদী। বরিশালের পাকিস্তানি বোলার জাহানদাদ খানের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন মেহেদী। পাকিস্তান পেসার ক্যাচ নিলে তাকে বাধা দেন সোহান। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ দেখার পর মেহেদীকে আউট ঘোষণা করেন অনফিল্ড আম্পায়াররা। এই আউট নিয়ে রংপুরের অধিনায়ক বলেছেন, ‘ওই সময়টা যেটা হয়েছে, কোনও ইচ্ছাকৃত কিছু করা হয়নি। আমিও রান নেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম, আর আমি চাচ্ছিলাম ওই সময়ে স্ট্রাইকটা নিতে। অবশ্যই যখন আমার সামনে এসেছে.... আম্পায়ার যেটা বলেছে যার ক্যাচ হয়তো সে আউট, সেটা সে আউট হবে, যদি বলটা মাটিতে থাকতো হয়তো জিনিসটা অন্যরকম থাকতো, শূন্যে ছিল, যেহেতু ক্যাচের অপশন ছিল এতে। বাট আমার মনে হয় আমি আমার ওয়ে চেঞ্জ করি নাই। যে ওয়েতে ছিলাম, ওই ওয়েতে আমি সোজা গিয়েছি একরানের জন্য।’