সংযুক্ত আরব আমিরাতরে বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বুধবার সকালে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যদিও ১৬ ক্রিকেটারের ১০ জন আজ সকালের ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন। অধিনায়ক লিটন দাসসহ বাকি ৬ ক্রিকেটার আজ সন্ধ্যার ফ্লাইটে দেশ ছাড়বেন।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে বুধবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলী অনিক। এরপর একে একে বাকি ক্রিকেটাররা এসে পৌঁছান। লিটনের নেতৃত্বে নতুনভাবে সাজানো এই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। আগামী ১৭ মে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ১৯ মে। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এই সিরিজ খেলেই পাকিস্তানে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে সিরিজটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও যুদ্ধ বিরতি মেনে নেওয়ার পর দুই দেশে বন্ধ হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নতুন করে শুরু হচ্ছে। তবে পাকিস্তান লিগ পিছিয়ে পড়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও পেছানো হচ্ছে। বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও জানা গেছে আগামী ২৫ মের বদলে সিরিজটি শুরু হবে ২৭ মে।
তবে পাকিস্তানে যাওযার ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিসিবি। সংস্থাটি সরকারের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছে। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) ২৭ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী প্রথম তিনটি ম্যাচ (২৭,২৯ মে ও ১ জুন) হবে ফয়সালাবাদে, বাকি দুটি (৩ ও ৫ জুন) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু একটি গণমাধ্যমে পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা আজ (গতকাল) পাকিস্তান থেকে সিরিজের ম্যাচসূচি পেয়েছি। এটি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো—যেমন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পাকিস্তানে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত সরকারের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে। আমাদের হাতে এখনও সময় আছে। দল ২০ মে আরব আমিরাত থেকে ফিরবে। তার আগে সরকার সবুজ সংকেত দিলে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।’
এদিকে, মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে গত শনিবার সাঁতার ফেডারেশনের এক অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি, এর মধ্যে কোনও প্রকার ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। পাকিস্তান দূতাবাস থেকেও আমাদের নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।’
মোদ্দাকথা, পাকিস্তান সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত এখন শুধুই বিসিবির ওপরই নয়, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে সরকারের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই সরকার থেকে সবুজ সংকেত না পেলে এই সফর থেকে সরে দাঁড়ানোই হবে তাদের একমাত্র উপায়।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখে মেহেদী হাসান, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম।