২৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা দারুণ করে। প্রথম ওভারে পারভেজ হোসেন ইমন টানা দুটি চার মারেন। ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচ রাঙাতে পারেননি বাংলাদেশ ওপেনার। ১৩ রান করে থামেন তিনি। ২৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর তানজিদের হাফ সেঞ্চুরি ও নাজমুল হোসেন শান্তর প্রতিরোধে বাংলাদেশ যেন জয় দেখতে পাচ্ছিল। ১ উইকেট হারিয়ে যে তাদের স্কোরবোর্ডে রান ৯৯!
চমৎকার অবস্থানে থাকার পর হঠাৎ করে এলোমেলো বাংলাদেশ, যার শুরুটা হয়েছিল শান্তর রান আউটে। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে তিনি দুই সেন্টিমিটার দূরে থাকতে মিলান রত্নায়েকের থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন কুশল মেন্ডিস। ১০০ রানে পড়ে ২ উইকেট।
পরের ওভারের ঘটনা। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বল হাতে নিয়েই ধসের সূচনা করলেন। ১৮তম ওভারে লিটন দাস ও তানজিদকে ফেরান লঙ্কান স্পিনার। পরের ওভারে কামিন্দু মেন্ডিস ফেরান তাওহীদ হৃদয়কে।
১০৩ রানে দলের অর্ধেক ব্যাটারের বিদায়ের পর হাল ধরতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক ডাক মারেন হাসারাঙ্গার বলে। পরের ওভারে কামিন্দু জোড়া আঘাতে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদকে।
মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ, যা ছেলেদের ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় ধস। এর আগে ২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ৮ রানে এমন ধস দেখেছিল। ১ উইকেটে ২৩ রান করা আমেরিকা ৩১ রানে হারায় ৮ উইকেট। ৩৫ রানে বোল্ড হয় তারা।