বার্সেলোনার বিপক্ষে লড়াইটা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে মর্যাদার দিক থেকে সব কিছুকে ছাড়িয়ে। এল ক্লাসিকোর সেই মহারণে রামোসের হেডে জয়ের স্বপ্ন দূর দিগন্তে মিলিয়ে গেল বার্সেলোনার। ন্যু ক্যাম্পের উৎসবের রং বেদনার নীলে বদলে গেল ১-১ গোলের ড্রয়ে।
আবার সেই সের্হিয়ো রামোস। বড় ম্যাচ হলেই কেন জানি ডিফেন্ডার রামোস হয়ে উঠেন গোল স্কোরার। ২০১৪ সালে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের কাছ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ছিনিয়েই নিয়েছিলেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার শেষ মুহূর্তে গোল করে। এবার শিরোপা জেতার ম্যাচ না হলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে লড়াইটা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে মর্যাদার দিক থেকে সব কিছুকে ছাড়িয়ে। এল ক্লাসিকোর সেই মহারণে রামোসের মাথার ধাক্কায় (হেডে) জয়ের স্বপ্ন দূর দিগন্তে মিলিয়ে গেল বার্সেলোনার। ন্যু ক্যাম্পের উৎসবের রং বেদনার নীলে বদলে গেল ১-১ গোলের ড্রয়ে।
প্রথমবার লিওনেল মেসির নেতৃত্বে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনা মুখোমুখি লড়াইয়ে নামল। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ছিলেন না, মাঝমাঠ সামলাতে তার জায়গায় কোচ এনরিকের নামিয়েছিলেন আন্দ্রে গোমেসকে। টানটান উত্তেজনার এই লড়াইয়ে শুরুতেই বার্সা ভক্তদের মনে ভয় ধরে দেয় লুকাস ভাসকেসকে ডি বক্সে হাভিয়ের মাসচেরানো ফাউল করলে। কিন্তু রেফারি কার্লোস গোমেস সেটা আমলে নেননি। পরের আক্রমণ এসেছে স্বাগতিকদের কাছ থেকে। নেইমার ৯ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে ক্রস দেন সের্হি রবের্তোকে, কিন্তু তার শট বুক দিয়ে প্রতিহত করেন সের্হিয়ো রামোস। ১৬ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, কিন্তু তার ফ্লিক সহজে ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক আন্দ্রে টের স্টেগেন। দুই মিনিট পর মেসি পেলেন ফ্রি কিক, বক্সের বাইরে থেকে তার বাঁ পায়ের শট গোলপোস্টের কোনাকুনি বরাবর সহজে গ্লাভসবন্দি করেন রিয়ালের গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
২০ মিনিটে নেইমারের ক্রস থেকে লুইস সুয়ারেজের দুর্বল শট প্রতিহত হয়। পরের মিনিটে করিম বেনজিমাকে হতাশ হতে হয়। সুযোগ নষ্টের ম্যাচে ২৮ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখতে হয় নেইমারকে, পরের লা লিগা ম্যাচে এ জন্য খেলতে পারবেন না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বক্সের বাইরে থেকে ৩১ মিনিটে মার্সেলোর ডান পায়ের শট গোলমুখের দিকে এগোতে পারেনি। শেষ ১০ মিনিটে রিয়াল কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। ৩৭ মিনিটে ডি বক্সের মাঝ থেকে রোনালদোর মাটি কামড়ানো শট রুখে দিতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি টের স্টেগেনকে। ৪০ মিনিটে জোর্দি আলবার শট রিয়ালের বক্সে থাকা কারভাহালের বুক ও হাতে লাগলে বার্সার করা হ্যান্ডবলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন রেফারি। বিরতির মিনিট খানেক আগে বাঁ প্রান্ত থেকে নেওয়া বেনজিমার শট কোনোভাবে পা দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান জেরার্দ পিকে। ইসকোর ক্রস থেকে রাফায়েল ভারানের হেডটি যথেষ্ট গতি পায়নি বলে বিরতির আগে রিয়ালের শেষ চেষ্টা সফল হয়নি।
এই ড্রয়ে ১৪ ম্যাচ শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল রিয়াল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে তাই থাকল আগের মতোই ৬ পয়েন্টের ব্যবধান।
/এফএইচএম/