জুরিখে না যাওয়ায় মেসির প্রতি বিরক্ত ম্যারাডোনা

মেসির প্রতি বিরক্ত ম্যারাডোনা ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের চূড়ান্ত তিনে ছিলেন লিওনেল মেসি।  তাকে পেছনে ফেলেই ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।  তবে জুরিখের গালা নাইটে ছিলেন না বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড নিজেই! আর তাতেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা।

ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের চূড়ান্ত তিনে ছিলেন লিওনেল মেসি। আর বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডই যাননি জুরিখের গালা নাইটে! আর তাতেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা।  বলেছেন, ‘মেসির প্রতি সত্যি বিরক্ত হয়েছি।  এটা বলে রাখি যে ঘরে বসে টিভি দেখে কেউ কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে না।  লড়াইটা আসলে এখানে।’

শুধু মেসিই নন, তার মতো অনুষ্ঠানে যাননি লুই সুয়ারেস-নেইমারও। কারণ অন্য কিছু নয়, বুধবার অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকায় অনুষ্ঠানে যাননি বার্সার এই ত্রয়ী তারকা।

কোপা দেল রে’র শেষ ষোলোর লড়াইয়ের প্রথম লেগ হেরে ফিরেছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে লড়তে হবে তাদের বিলবাওয়ের বিপক্ষে। কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়ানো কাতালান ক্লাবটি এই মুহূর্তে দলের কোনও খেলোয়াড়কে বাইরে যেতে দিতে চাইছে না। সে কারণেই বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে থাকা মেসিকেও ক্লাব কর্তৃপক্ষ রেখে দিয়েছে কাতালুনিয়ায়।। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সঙ্গে জুরিখে যাওয়ার কথা ছিল সুয়ারেস, নেইমার ও জেরার্দ পিকেরও।  এই তিনজনও গালা নাইটে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছিল বার্সেলোনা।

এ প্রসঙ্গে ম্যারাডোনা তোপ দাগান কর্তৃপক্ষের দিকে, ‘আমি জানি না বার্সেলোনা কেনও এমন ইভেন্টে আসেনি। তাদের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয় আছে, আর মেসির জন্যই ওরা আসেনি। আমার কাছে মনে হয়েছে জুরিখে আসলে ওরা বার্সেলোনার থেকেও বেশি লড়াই করার সুযোগ পেত।’  

/এফআইআর/