রোমাঞ্চকর ড্রয়ে সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী

abahani ctgদুই গোলে পিছিয়ে পড়েও অনবদ্য দলীয় প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মানাং মারসিয়ানদির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।

প্রথমার্ধে হজম করা দুই গোলে  গ্রুপ ‘বি’  থেকে বাদ পড়ার দ্বারে পৌঁছে গিয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু হতোদ্যম না হয়ে সম্মিলিত নৈপুণ্যে খেলায় ফিরে আসে তারা। ম্যাচ হারলে টুর্নামেন্ট থেকেও ছিটকে যেত তারা, কিন্তু নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ও অগাস্টিন ওয়ালসনের করা দুটি গোল দলকে করে রক্ষা, আর নিয়ে যায় শেষ চারে। 

খেলার তৃতীয় মিনিটেই ধাক্কা খেয়েছিল আবাহনী। বাম প্রান্ত থেকে সুজন শ্রেষ্ঠার করা ক্রসটি হেড করে আনমার্কড জাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড আফিজ ওলাওলে ওলাডিপোর সামনে ফেলেন মানাং অধিনায়ক অনিল গুরুং, ফাঁকা জালে হেড করে দলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি ওলাডিপো। 

এ ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ২২ মিনিটে ওলাডিপো হানেন দ্বিতীয় আঘাত। মাঝমাঠ থেকে ভাসানো একটি লং বল বক্সেও মাঝে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনি ফুটওয়ার্কে পরাস্ত করেন তার মার্কার নাসিরউদ্দীন চৌধুরিকে, এরপর আড়াআড়ি শটে বল জড়িয়ে দেন দূরের জালে। 

আবাহনী খেলায় ফিরে ৩২ মিনিটে। মামুনুলের কর্নার থামিয়ে বক্সের মাঝে আলতো চিপ করেন জামাল ভূইয়া, নিচু হেডে আবাহনীর প্রথম গোলটি করেন নাসিরউদ্দিন। উজ্জীবিত হয়ে ওঠে দল। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সমতার গোলে খোঁজার লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ধারার খেলার সুফল আবাহনী পায় ৬২ মিনিটে। মানাংয়ের বিদেশি ডিফেন্ডার  সিসোকো বক্সের মাঝে হ্যান্ডবল করলে তা থেকে পাওয়া পেনাল্টিতে স্কোরলাইন ২-২ করেন হাইতিযয়ন ফরোয়ার্ড অগাস্টিন ওয়ালসন। 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে সৌভাগ্যও সঙ্গী হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর। অনিল গুরুংয়ের হেড ক্রস পিসে আঘাত করে খেলায় ফিরে না এসে যদি আশ্রয় নিতো জালে, তবে তাদের বিদায় ঘন্টা বাজতো সেখানেই। 

তিন খেলায় চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ৫। মানাং মারসিয়ানদির ৪।

/আরএম/কেআর/