যদিও আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আবাহনী কোচ সাইফুল বারি টিটুর কথায় ছিল প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মানের ছায়া, ‘ওদের যে খেলা দেখেছি। বিশেষ করে আধুনিক ফুটবলের যে বিষয়গুলো আছে, টিম শেপ, ডিফেন্ডিং, অ্যাটাকিং, ট্রানজিশন- এসব বিষয়গুলো ওরা ভালোভাবে মেনে চলার চেষ্টা করে। টিম অনুযায়ী তারা যে সুযোগগুলো তৈরি করেছে, সে অনুযায়ী তারা গোল পায়নি। তিন ম্যাচে সম্ভবত তিন গোল করেছে। কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা শক্তিশালী।’
তাই বলে বিনা যুদ্ধে পার পাবে না প্রতিপক্ষ- এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে এই কোচ আরও বলেন, ‘আমরা টুর্নামেন্টে সেরা খেলাটা খেলার জন্য তৈরি। আসলে তাদের হারাতে হলে সেরা খেলাটাই লাগবে। মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের পারফরম্যান্স লাগবে। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সেমি-ফাইনালে উঠে প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ।আমরা গতবারের চ্যাম্পিয়ন, সবাই আশা করে ফাইনালে যাব, চ্যাম্পিয়ন হবো। আমরা এখনও সেই ট্র্যাকে আছি।’
কোচের মতো অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের চোখে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন, ‘টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল পোচেওন। বাংলাদেশের একমাত্র দল হিসেবে আমরা সেমিতে খেলছি। বাংলাদেশের ফুটবলকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে হলে আমাদের ফাইনাল খেলতে হবে। কোরিয়ার দলকে যদি আমরা হারাতে পারি, তাহলে সেটা আমাদের ফুটবলের জন্য ইতিবাচক হবে। গত তিন ম্যাচে যে ভুলগুলো আমরা করেছি, সেটা যেন এই ম্যাচে না করি। তাহলেই জিতবো।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘কোরিয়ার থার্ড ডিভিশন বা ফোর্থ ডিভিশনের দল- এটা কথা নয়। তারা কোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা যেমন চট্টগ্রাম আবাহনী নই, বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। তাই আমি চাইব আমার দেশের পতাকাই উড়ুক।’
এদিকে পোচেওন অধিনায়ক হান ইয়ং সু মনে করছেন কোনও চাপের মাঝে নেই তার দল, ‘নিজ মাঠে বরং শিরোপাধারীরাই চাপের মাঝে থাকবে। গত তিনটি ম্যাচে আমরা খারাপ খেলিনি, সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই,আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।’
/আরএম/