সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলারদের দলবদলের ক্ষেত্রে সবচেযে বড় জটিলতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ক্লাবের সঙ্গে খেলোয়াড়দের চুক্তির মেয়াদ। ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের সঙ্গে যে চুক্তি করে, তাতে লেখা থাকে চুক্তির মেয়াদ হবে মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত। সাধারণত লিগ শেষ হওয়ার পরপরই খেলোয়াড়রা নিজেদের উন্মুক্ত ভাবেন এবং নতুন মৌসুমের জন্য দর কষা শুরু করেন। ক্লাবগুলোর লিগ শেষের পরও যদি তাদের অন্য খেলা থাকে, সেক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের ধরে রাখে। যে সব ক্লাবের খেলা থাকে না তারাও মাঠে নেমে পড়ে নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে দল সাজানোর কাজে।
এ সময়ে একজন খেলোয়াড় যদি অন্য ক্লাবে খেলতে চান বা চলে যান, তখনই শুরু হয় জটিলতা। ক্লাব বলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের চুক্তি অব্যাহত আছে। খেলোয়াড় আবার বলে লিগ শেষ মানে মৌসুম শেষ। সম্প্রতি ঢাকা আবহনীর পাঁচ খেলোয়াড় বিপিএলের নতুন দল সাইফ স্পোর্টিংয়ে যোগ দেয়, অথচ আবাহনী তখন এএফসি কাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি ফুটবল অঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত হয়। এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য বাফুফে এখন মৌসুমের নতুন নিয়ম করছে।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে দলবদলের ফর্ম দেওয়া শুরু করেছি আমরা। অর্থাৎ নতুন মৌসুমের কাজ শুরু হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে দলবদলে তাই খেলোয়াড়রা এখন স্বাধীন। আগামী মৌসুমে এটিই সবাইকে মানতে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমাদের রয়েছে একটি ক্যালেন্ডার, কোনও খেলোয়াড় যদি পুরো মৌসুমের জন্য চুক্তি করতে না চায় তবে সেটিও তারা করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চুক্তির তারিখ ও এটি শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করতে হবে, না হলে এটি গ্রহণ করা হবে না।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের খেলোয়াড় নিবন্ধন একই সঙ্গে শুরু হবে ১ এপ্রিল থেকে। ফুটবল মৌসুমের পর্দা উঠবে মে মাসে ফেডারেশন কাপ দিয়ে। আর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগ।
/আরএম/কেআর/