গত শুক্রবার বাবা-মায়ের কোলে মারা যায় ছোট্ট এ শিশু। তারাই সামাজিক মিডিয়ায় নিশ্চিত করেন সন্তানের মৃত্যু সংবাদ, ‘আমার সাহসী ছেলে আজ চলে গেল স্বর্গদূতদের সঙ্গে।’ এ খবর যেন নাড়িয়ে দিয়ে যায় ফুটবল বিশ্বকে, যারা প্রাণপণে চেয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ী হোক লরি।
দেড় বছর বয়সে ক্যানসার ধরা পড়ার পর থেকে ফুটবলের সঙ্গে বেশ হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল লরির। সান্ডারল্যান্ডের ভীষণ ভক্ত সে, বিশেষ করে জার্মেইন ডিফোর। বতর্মানে বোর্নমাউথে চুক্তিবদ্ধ ইংলিশ এ স্ট্রাইকার সান্ডারল্যান্ডে থাকার সময় বন্ধুত্ব হয় লরির। শুধু ডিফো নয়, পুরো ফুটবল বিশ্বের ভালোবাসা পেয়েছিল সান্ডারল্যান্ডের এ ভক্ত। তার চিকিৎসার জন্য গত বছর ৭ লাখ পাউন্ড তোলা হয়েছিল। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন- ক্যানসার প্রাণঘাতী হয়েই বাসা বেঁধেছে ছোট্ট লরির শরীরে।
সাহসের এক দুর্বার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল লরি। গত মার্চে ইংল্যান্ড-লিথুনিয়ার ম্যাচে সে ছিল মাসকট। তার মুখের হাসি সব প্রতিকূলতাকে ভেঙে দিয়ে যেন বিজয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু না, সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল সে। বিবিসি, স্কাই নিউজ
/এফএইচএম/