আবারও বার্সেলোনার জয়ের নায়ক নেইমার

গোলের পর নেইমারের উদযাপনপ্রাক-মৌসুমে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এখন নেইমারের ভবিষ্যৎ। তিনি বার্সেলোনায় থাকবেন নাকি চলে যাবেন প্যারিস সেন্ত জার্মেইতে? উত্তর নিয়ে চলছে ধোঁয়াশা। তবে এনিয়ে জনসম্মুখে কোনও কথা বলেননি নেইমার। অবশ্য যুতসই জবাব দিচ্ছেন মাঠে। এ সপ্তাহে দ্বিতীয়বার বার্সেলোনার জয়ের নায়ক এ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বুধবার তার গোলে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নস কাপে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।

গত শনিবার জুভেন্টাস থামাতে পারেনি নেইমারকে। তার জোড়া গোলে বার্সা জিতেছিল ২-১ এ। ফেডএক্স ফিল্ডে এবার ৮০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে তাকে চুপ রাখতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও।

দর্শনীয় এক গোল করেছেন নেইমার। লিওনেল মেসির নিখুঁত পাস আটকাতে পারেননি অ্যান্তনিও ভ্যালেন্সিয়া এবং বল যায় ব্রাজিলিয়ানের পায়ে। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গোলমুখের খুব কাছ থেকে ডেভিড ডি গিয়াকে পরাস্ত করেন নেইমার।

ওটাই ছিল একমাত্র গোল। কিন্তু সুযোগের কমতি ছিল না, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। প্রথম সুযোগ যায় ইউনাইটেডের পক্ষে। মার্কুস রাশফোর্ডের চতুর ক্রস গোলবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন রোমেলু লুকাকু। অবশ্য প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবটির চেয়ে বার্সেলোনা ছিল অনেক এগিয়ে।

প্রথম ৪৫ মিনিট ডি গিয়াকে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা দিতে হয়েছে। চতুর্থ মিনিটে নেইমারকে ঠেকাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল ম্যানইউ গোলরক্ষককে। দুই মিনিট পর মেসি পরীক্ষা নেন স্প্যানিশের। এক মিনিটেরও কম সময়ে পরের সুযোগ পান লুই সুয়ারেস। উরুগুয়ানের শট ডি গিয়ার অনেক পাশ দিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে।

ইউনাইটেডের আরেকটি সেরা সুযোগ আসে, কিন্তু বার্সেলোনার গোলরক্ষক জ্যাসপার সিলেসেন রুখে দেন পল পোগবা ও রাশফোর্ডের দারুণ প্রচেষ্টা। তার কিছুক্ষণ আগে মেসির বল পোস্টে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

বার্সেলোনার আক্রমণত্রয়ীকে ঠেকাতে প্রথমার্ধের পুরোটা হিমশিম খায় ম্যানইউ। মেসির ফ্রিকিক রক্ষণদেয়ালে লাগে এবং সুয়ারেসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন ডি গিয়া। কিন্তু ৩১ মিনিটে নেইমারকে আর ঠেকাতে পারেননি ম্যানইউ গোলরক্ষক। এর ৬ মিনিট পর সুয়ারেসের ৬ গজ দূর থেকে নেওয়া শট ডি গিয়া ব্যর্থ না করলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতো।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের আবহ বদলে যায়, স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে ম্যানইউ। কারণ এর্নেস্তো ভালভারদে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন মেসি, নেইমার ও সুয়ারেসকে। সিলেসেনকে তাই ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে শেষ সময়। ম্যানইউর কয়েকটি চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন তিনি। এতে স্কোরশিট আর পাল্টায়নি। ফলাফল, প্রাক-মৌসুমে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। আর আবারও শিরোনাম তৈরি করলেন নেইমার। গোল, ইএসপিএনএফসি

/এফএইচএম/