দুই জয়ের পর হতাশার হার

হারের পর হতাশ বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা (লাল জার্সি)ভারত ও মালদ্বীপকে হারিয়ে সহজেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। শিরোপায় একহাত রাখতে সোমবার তারা তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নেপালের। কিন্তু ১০ জনের বাংলাদেশ হেরে গেল ২-১ গোলে।

টানা দুই জয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশকে ঠেকাতে প্রাণপণে লড়ে গেছে নেপাল। প্রথম ১০ মিনিটে দুইবার তাদের ফাউলের শিকার হয়েছে বাংলাদেশিরা। বোঝাই যাচ্ছিল, আতঙ্কিত নেপালিরা। ১১ মিনিটে তৃতীয় ফাউলে ফ্রিকিক থেকে দুর্দান্ত এক শট নেয় বাংলাদেশ। দুর্ভাগ্য, শট লাগে গোলবারে। পরের মিনিটে বাংলাদেশের শট গোলপোস্টের কিছুটা পাশ দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৭ মিনিটে নেপালের গোলরক্ষক অর্পণ কারকির প্রতিরোধের কারণে এগিয়ে যেতে পারেনি তারা। আবারও কারকি ৩ মিনিট পর বাংলাদেশকে গোলবঞ্চিত করেন।

বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্টের খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয়েছে ২২ মিনিটে। অভিষেক রিজল দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে নেপালকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে। তবে ৮ মিনিট পরই সমতা ফেরায় বাংলাদেশ, এবারও ফ্রিকিক গোলপোস্টে লাগে। অবশ্য ফিরতি শটে মোহাম্মদ আল-আমিন লক্ষ্যভেদ করেন।

বিরতির আগে শেষ পাঁচ মিনিটে দুইবার বাংলাদেশের গোলমুখে শট নেয় নেপাল। কিন্তু তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশি গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে এসে বড় এক ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। বিশ্বনাথ ঘোষ ৫৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়েন। শেষ ৩৭ মিনিট তাই বেশ সতর্ক হয়ে খেলতে হয়েছে ১০ জনের বাংলাদেশকে। এ সুযোগ ৫৭ মিনিটে কাজে লাগাতে পারতো নেপাল, প্রেরেজ তামাংয়ের নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে তাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ সুবর্ণ সুযোগ পায় ৭২ মিনিটে। আগের মতো এবারও গোলপোস্ট তাদের জন্য বাধা তৈরি করে। অন্যদিকে মুহুর্মুহু আক্রমণ চালানো নেপাল ৮০ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে। ৪০ গজ দূর থেকে জয়সূচক গোল করেন রোমান লিম্বু।

এ জয়ে উন্মুক্ত হয়ে গেল শিরোপার লড়াই। শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। আর নেপাল খেলবে ভারতকে। প্রত্যেক দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট।