জয়ের ব্যবধান ২-০ গোলের। তবে এস্পানিওল গোলরক্ষক পাউ লোপেস বাধা হয়ে না দাঁড়ালে রিয়ালের গোল হতে পারতো আরও কয়েকটি। মাত্র ২০ সেকেন্ডে সের্হিয়ো রামোসের পাসে ইস্কো বল নিয়ে ছুটে যান এস্পানিওলের গোলমুখে। কিন্তু স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের নিচু শট ঠেকিয়ে দেন লোপেস।
২৪ মিনিটে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ক্রস থেকে রামোসের হেড রুখে দিয়ে আবার এস্পানিওলকে বাঁচান গোলরক্ষক। তবে কিছুক্ষণ পর আর রিয়ালকে থামাতে পারেননি লোপেস। ৩০ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে ইস্কোকে পাস দেন রোনালদো, গোলপোস্টের খুব কাছ থেকে ১-০ করেন স্প্যানিশ তারকা।
পরের ৫ মিনিটে রোনালদো দুইবার নষ্ট করেন গোলের সুযোগ। ৩১ মিনিটে যথেষ্ট সময় পেলেও গোলবারের উপর দিয়ে বল তুলে মারেন তিনি। পরের চেষ্টায় ৩৪ মিনিটে তাকে পা দিয়ে গোলবঞ্চিত করেন আত্মবিশ্বাসী লোপেস।
রিয়ালের সুযোগ নষ্টের রাতে প্রথমার্ধের শেষ ৫ মিনিটে জেরার্দ মোরেনো দুইবার এস্পানিওলকে সমতায় ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। প্রথমবার তাকে রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। পরেরবার তার বাঁপায়ের শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় অতিথিদের।
বিরতির পর পঞ্চম মিনিটে আবার এস্পানিওলের আক্রমণ। টনি ক্রুসের ভুলে নাভারো পোস্টের কাছ থেকে শট নেন, এবারও নাভাসের সামনে ব্যর্থ তারা। ৭০ মিনিটে রামোস বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে এস্পানিওল ফরোয়ার্ড লিও ব্যাপ্তিস্তাও গোলমুখের সামনে শট নিতে গেলে তাকে থামান ভারানে। তাদের এমন কয়েকটি আক্রমণে জয় নিয়ে ফের শঙ্কায় পড়েছিল রিয়াল। তবে সব শঙ্কা দূর করে ৭১ মিনিটে মার্কো আসেনসিওর পাস থেকে দ্বিতীয় গোল করেন ইস্কো।
ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে অল্পের জন্য তিন নম্বর গোল হয়নি রিয়ালের। রোনালদোর ডানদিকে বাড়ানো ক্রসে হেড করেছিলেন রামোস, কিন্তু বল চলে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে।
৭ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে রিয়াল। ২১ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে বার্সেলোনা।