২৮ বছর পর বিশ্বকাপে মিশর

মিশরকে বিশ্বকাপে নেওয়া সালাহকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাসকঙ্গো-ব্রাজাভিলকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের টিকিট পেলো মিশর। নাইজেরিয়ার পর দ্বিতীয় আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্ব আসরে খেলার যোগ্যতা লাভ করলো তারা। বিশ্বমঞ্চে তাদের উপস্থিতি হতে যাচ্ছে ২৮ বছর পর।

লিভারপুলের তারকা মোহামেদ সালাহর জোড়া গোলে জয় পায় মিশর। শেষ হয়ে যায় ঘানার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন। ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের সেরা দল হয়ে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে জায়গা পেলো মিশর।

ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল মিশর। তবে কঙ্গোর গোলমুখের সামনে তারা বাধার সম্মুখীন হয়েছে প্রায় সময়। প্রথমার্ধে আহমেদ হেগাজির প্রচেষ্টা সতর্কতার সঙ্গে রুখে দেয় কঙ্গো গোলরক্ষক। বিরতির পর উল্টো লিড নিতে বসেছিল কঙ্গো। মিশরের ৪৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক এসাম এল হাদারি ব্যাকপোস্টে দুর্দান্ত ওই ভলি ঠেকান।

মিশরকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৮ মিনিট পর্যন্ত। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক বারেল মওকোর মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান সালাহ। স্বাগতিক ভক্তরা মেতে ওঠে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার আনন্দে। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ থাকেনি। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে আরনোল্ড বউকার ভলি পরাস্ত করে এল হাদারিকে। সমতায় ফেরে কঙ্গো। তবে নিজেদের দোষে কপাল পোড়ে তাদের। ইনজুরি সময়ে বেরাঙ্গার ইতোয়া ডিবক্সে ফাউল করেন ট্রেজেগেটকে। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করেন সালাহ। এক ম্যাচ হাতে রেখে মিশর নিশ্চিত করে তারা যাচ্ছে রাশিয়ায়। আগামী ৬ নভেম্বর ঘানার মাঠে বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ খেলবে দলটি।

মিশর সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছিল ১৯৯০ সালে। তাদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল ১৯৩৪ সালে। দুইবারই প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়েছিল মিশর। ইএসপিএনএফসি