খেলা শুরুর বাঁশি বাজতেই অ্যাতলেতিকোর ডিবক্সে আক্রমণ চালান লিওনেল মেসি। লুই সুয়ারেসের কাছ থেকে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু লক্ষ্যে তার শট নেওয়ার মুহূর্তে সাউল বল বিপদমুক্ত করেন। অ্যাতলেতিকো বলের দখল হারালে ৩ মিনিটে সুযোগ পান আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ডিবক্সের ভেতর থেকে নেওয়া স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের শট সহজে ধরে ফেলেন অ্যাতলেতিকো গোলরক্ষক ওবলাক।
শুরুটা এমন আক্রমণাত্মক হয়েছিল বার্সার। কিন্তু এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হারিয়ে ফেলে তারা। ৪ মিনিটে প্রথমবার কাতালানদের বক্সে ঢোকে অ্যাতলেতিকো। লক্ষ্যে শট নেওয়ার মুহূর্তে কোরেয়াকে থামান উমিতি। ৮ ও ৯ মিনিটে দুইবার আন্তোয়ান গ্রিজমান বার্সার রক্ষণ ভেঙে গোলপোস্টের দিকে শট নেন। দুইবারই দক্ষতার সঙ্গে ফরাসি তারকাকে ঠেকান বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
গ্রিজমান ব্যর্থ হলেও দুই পাল্টা আক্রমণের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে ২১ মিনিটে এগিয়ে যায় অ্যাতলেতিকো। কারাসকোর পাসে ডিবক্সের খানিকটা বাইরে থেকে নেওয়া সাউলের ক্ষিপ্র শট এবার আটকাতে পারেননি টের স্টেগেন।
বিরতির আগে বাকি সময় তেমন কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি অ্যাতলেতিকো। ৩৭ মিনিটে ইনিয়েস্তার হাফ-ভলি গোলপোস্টের খানিকটা পাশ দিয়ে চলে গেলে সমতা ফেরাতে পারেনি বার্সা।
অল্পের জন্য ৮৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পাননি সুয়ারেস। বাঁপ্রান্ত থেকে গোমেস বল এগিয়ে দেন গোলমুখের সামনে। কিন্তু বলে পা লাগাতে পারেননি উরুগুয়ান স্ট্রাইকার। ৮৯ মিনিটে তার ডানপায়ের শট চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। শেষ বাঁশি বাজার আগে মেসির ফ্রিকিক সোজা চলে যায় অ্যাতলেতিকো গোলরক্ষকের হাতে।
৮ ম্যাচে ২২ পয়েন্টে শীর্ষে থাকলো বার্সেলোনা। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের (১৭) সঙ্গে তাদের ব্যবধান কমলো ৫ পয়েন্টে। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনে থেকে তিন নম্বরে অ্যাতলেতিকো (১৬)। তাদের সমান পয়েন্ট চার নম্বরে থাকা সেভিয়ার।