সত্যিকার অধিনায়কের মতোই নেতৃত্ব দিলেন জেডিনাক। ঠিক সময়ে জ্বলে উঠে আনন্দের ঢেউ তুললেন তিনি গোটা অস্ট্রেলিয়ায়। বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে তৈরি হওয়া সংশয় উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে প্রমাণ করলেন, কেন তারা এশিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন। ৫৩ মিনিটে প্রথমবার লক্ষ্যভেদ করা এই মিডফিল্ডার ৭২ ও ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরও দুই গোল করে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক।
অবশ্য সিডনির ম্যাচের প্রথমার্ধ জুড়ে উড়াউড়ি করেছে সংশয়ের মেঘ। ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে সুযোগ তৈরি করলেও যে গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। তাতে অস্ট্রেলিয়ানদের মনে হতাশা জন্ম নিলেও জেডিনাক সেটা দূর করে দেন ৫৩ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে। ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে নেন তিনি সকারুদের। এই গোলে অবশ্য আছে ভাগ্যের ছোঁয়াও! বক্সের খানিকটা বাইরে থেকে নেওয়া অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের শট হন্ডুরাসের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।
সেই শুরু, এরপর পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন জেডিনাক। ৭২ মিনিটে ব্রায়ান অ্যাকোস্টা নিজেদের বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। স্পট কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করতে কোনও অসুবিধাই হয়নি জেডিনাকের। ৮৫ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় অস্ট্রেলিয়া। এবারও কিক নিতে আসা জেডিনাক বল জালে জড়িয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের সঙ্গে নিশ্চিত করেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ।
দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে আলবার্থ এলিস অস্ট্রেলিয়ার জালে বল জড়িয়ে শুধু আক্ষেপই বাড়িয়েছেন হন্ডুরাসের। বিশ্বকাপ থেকে তখন তারা অনেক দূরে। টানা তৃতীয়বার ফুটবল মহাযজ্ঞে খেলার যে স্বপ্ন দেখেছিল হন্ডুরাস, সেটা শেষ হয়ে যায় সিডনিতে এসে। বিপরীতে ৩-১ গোলের জয়ে টানা চতুর্থবার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে রাশিয়াতে পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সকারুদের অবশ্য দিতে হয়েছে কঠিন পরীক্ষা। রাশিয়া অভিযানে গত ২৯ মাসে খেলতে হয়েছে তাদের ২২ ম্যাচ!
তাতে কী, দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার পর সঠিক গন্তব্যে তো পৌঁছানো গেল! গোল ডটকম