দেশের টানেই শ্রীলঙ্কায় ফিরছেন হাথুরুসিংহে

চন্ডিকা হাথুরুসিংহেবাংলাদেশের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু হঠাৎই পদত্যাগপত্র দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শোনা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের সমান বেতন দিতে রাজি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি), তাই নিজের দেশে ফিরে যেতে চাইছেন হাথুরুসিংহে। যদিও শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়াসেকারা বক্তব্যটা অন্যরকম। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, টাকা নয়, দেশের জন্য কিছু করতেই হাথুরুসিংহে ফিরতে চাইছেন শ্রীলঙ্কায়।

গত বছর একবার বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিল। এবারের অবস্থাটা একটু কঠিনই। তাছাড়া বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘জোর’ করে তারা রাখবে না শ্রীলঙ্কান এই কোচকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আসল কারণটা এখনও জানা যায়নি। তবে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়াটাকে বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এখন।

এতদিন বাতাসে গুঞ্জন শোনা গেলেও বুধবার দ্বীপ দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী জয়াসেকারা নিশ্চিত করেছেন, তারা চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করছেন হাথুরুসিংহের সঙ্গে। ইতিবাচক আলোচনারই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, ‘আশা করছি চুক্তির সবকিছু ঠিকঠাকভাবে শেষ হবে। তিনি (হাথুরুসিংহে) বাংলাদেশের ক্রিকেটকে উঁচু পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আমরা তাকে শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব করেছি, আমি অবশ্যই তাকে গ্রহণ করব।’

এর আগেও এক দফা হাথুরুসিংহেকে কোচ করার চেষ্টা চালিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। যদিও বেতনের আলোচনায় দুই পক্ষের মতের মিল না হওয়ায় চুক্তি হয়নি। এবার নাকি এসএলসি বাংলাদেশের সমান বেতন দিতে রাজি হয়েছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে মাসে ৪০ হাজার ডলার বেতন পান তিনি। যদিও জয়াসেকারা জানিয়েছেন, হাথুরুসিংহে এত টাকা আশা করছেন না শ্রীলঙ্কা থেকে।

তাহলে কেন যেতে চাইছেন তিনি? ব্যাখ্যাটা দিয়েছেন জয়াসেকারা এভাবে, ‘হাথুরুসিংহে বলেছেন তিনি এখানে (শ্রীলঙ্কায়) বেশি বেতনের আশা করছেন না। তিনি আসলে দেশের জন্য কিছু করতে চাইছেন। ওখানকার (বাংলাদেশে) বেশি বেতন ছেড়ে তার এখানে আসার জন্য অবশ্যই আমাদের তাকে সম্মান জানাতে হবে।’ রয়টার্স