রাজশাহীকে উড়িয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত ঢাকার

ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন এভিন লুইস২০২ রানের লক্ষ্যটা ছিল রাজশাহী কিংসের জন্য পাহাড় সমান। কঠিন এই লক্ষ্যে জিততে হলে ভালো শুরুর দরকার ছিল তাদের। কিন্তু পারেনি। ব্যাটিংয়ের শুরুতেই আসলে হার দেখে ফেলেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে বড় হারে শেষ হয়েছে তাদের ইনিংস। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও আলো ছড়িয়েছেন ঢাকার বোলাররা। যাতে ৬৮ রানের জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা সুসংহত করেছে তারা। শহীদ আফ্রিদির চমৎকার বোলিংয়ে রাজশাহী ১৮.২ ওভারে গুটিয়ে গেছে ১৩৩ রানে।

রাজশাহীকে হারিয়ে ঢাকা পেল চতুর্থ জয়। যাতে ৬ ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল সাকিব আল হাসানরা। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ‍খুলনা টাইটানস।

এভিন লুইস (৩৮ বলে ৬৫) ও কিয়েরন পোলার্ডের (২৫ বলে ৫২*) ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ঢাকা স্কোরে জমা করেছিল ২০১ রান। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজশাহী ইনিংসের পঞ্চম বলেই হারায় রনি তালুকদারের উইকেট। আবু হায়দারের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন রানের খাতা খোলার আগেই। ওয়ান ডাউনে নামা সামিত প্যাটেলও (৬) প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই পেসারের আগুনে বোলিংয়ে।

শুরুর ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন মুমিনুল হক ও জাকির হাসান। একটু হলেও সম্ভাবনার আলো দেখতে শুরু করেছিল রাজশাহী তাদের ৪৯ রানের জুটিতে। কিন্তু আফ্রিদির ঘূর্ণিতে সেই আশাও মিলিয়ে যায় দূর দিগন্তে। ১৬ রান করা মুমিনুলকে আউট করার পর রাজশাহীর ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার জাকিরকে ৩৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান এই অলরাউন্ডার পোলার্ডের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ৪ উইকেট পাওয়া আফ্রিদি পরে ফিরিয়েছেন মুশফিকুর রহিম (২) ও মেহেদী হাসান মিরাজকে (১০)। অধিনায়ক ড্যারেন সামি ১৯ রান করে আউট হন সাকিবের বলে।

আফ্রিদির ঘূর্ণির দিনে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন আবু হায়দার। ২.২ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে পেয়েছেন তিনি ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে ৩৮ বলে ৬৫ রান করা এভিন লুইসের হাতে।