পেনাল্টি গোলে ফরাশগঞ্জকে হারালো আবাহনী

ফরাশগঞ্জের গোলমুখে আবাহনীর একটি আক্রমণ। ছবি-বাফুফেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে ফরাশগঞ্জের কাছে হার মেনেছিল ঢাকা আবাহনী। শনিবার ফিরতি পর্বে ‘প্রতিশোধ’ নিতে ভুল হয়নি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দলের। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ২-১ গোলে।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে আবাহনী এখন যৌথভাবে লিগের দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ফরাশগঞ্জ পড়ে আছে সবার নিচে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি আবাহনী। পঞ্চম মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো-ইন থেকে এমেকা ডারলিংটনের হেড ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। বিরতির ঠিক আগে নাইজেরিয়ান সানডে চিজোবার চমৎকার হেডও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে ডিফেন্ডার রায়হানের জায়গায় ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া নেমেই গোল পেয়ে যান। ৫১ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের কর্নার থেকে জটলায় বল পেয়ে প্লেসিং শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন রুবেল। লিগে নিজের দ্বিতীয় গোল করে জাতীয় দলের ফরোয়ার্ডের প্রতিক্রিয়া, ‘দল জিতলে তো ভালোই লাগে। আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, তাই শিরোপা ধরে রাখতে আগামীতে আমাদের আরও ভালো খেলতে হবে।’

৭৪ মিনিটে সমতায় ফেরে ফরাশগঞ্জ। ডান দিক থেকে ক্রস করেছিলেন আফজাল হোসেন। বক্সের ভেতরে থেকে নাইজেরিয়ান চিনেডু ম্যাথিউয়ের প্লেসিং শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে চলে যায় আবাহনীর জালে (১-১)।

চার মিনিট পরই অবশ্য পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। সানডেকে বক্সের ভেতর মশিউর ইসলাম মিশু ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি এমেকার। এই গোলই মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে আবাহনীকে।

আগের ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে হেরে গিয়েছিল আকাশী-হলুদ জার্সির দলটি। জয়ের ধারায় ফিরে আবাহনীর ক্রোয়েশিয়ান কোচ দ্রাগো মামিচের প্রতিজ্ঞা, ‘আর কোনও পয়েন্ট হারানো যাবে না। শিরোপা ধরে রাখতে সব ম্যাচ জিততে হবে।’