এই জয়ে ২৮ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুলকে (৫৭) পেছনে ফেলে দুই নম্বরে উঠেছে ম্যানইউ। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা ম্যানসিটির (৭২) সঙ্গে তাদের ব্যবধান ১৩ পয়েন্টের। টটেনহ্যাম হটস্পার ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে চারে। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট পেছনে থেকে পাঁচ নম্বরে চেলসি (৫৩)।
এই মৌসুমে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির কাছে ১-০ গোলে হেরে এসেছিল ম্যানইউ। এবার নিজ মাঠে ব্লুদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিলো হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। ওই জয়ের একমাত্র গোলদাতা আলভারো মোরাতা ইউনাইটেডের মাঠে পান প্রথম সুযোগ। ৪ মিনিটে স্বাগতিক গোলরক্ষক ডেভিড দে গেয়া তার শট পাঠিয়ে দেন ক্রসবারের উপর দিয়ে।
২৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ম্যানইউ। অ্যান্থনি মার্শালের পাস পেয়ে গোলমুখে শট নেন অ্যালেক্সিস সানচেজ। কিন্তু চিলিয়ান স্ট্রাইকারের প্রচেষ্টা রুখে দেন থাইবত কোর্তোয়া। দুই দল প্রথম সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেও ৩২ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় ভক্তরা। স্বাগতিক সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে চেলসিকে এগিয়ে নেন উইলিয়ান। ইডেন হ্যাজার্ডের সঙ্গে কাউন্টার অ্যাটাকে দে গেয়াকে পরাস্ত করেন তিনি।
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে মোরাতাকে আবার ব্যর্থ করেন দে গেয়া। ৫৭ মিনিটে ম্যানইউ গোলরক্ষক আরেকটি কঠিন পরীক্ষায় উতরে যান। পরের মিনিটে উইলিয়ানের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে গেলে স্কোর পাল্টায়নি। ৬৯ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আরেকবার হতাশ করেন দে গেয়া। দুই মিনিট আগে কোর্তোয়া দারুণ চেষ্টায় রুখে দেন লুকাকুকে।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণের এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত দারুণ এক গোলে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয় ইউনাইটেড। ৭৫ মিনিটে লুকাকুর নিখুঁত ক্রসে লক্ষ্যে হেড নেন জেসে লিনগার্দ। কোর্তোয়া অসহায় চোখে দেখেছেন জালে বল জড়াতে।
এই গোলে পরিসংখ্যান গেছে চেলসির বিপক্ষে। শেষ যে ২২ লিগ ম্যাচে তারা প্রথমে গোল করেছিল, তার সবগুলোই জিতেছে। কিন্তু ম্যানইউ সেই ধারায় ছেদ টানলো।
এদিন আগের ম্যাচে হ্যারি কেনের একমাত্র গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। এই ইংলিশ তারকা ২৪তম গোল করে লিগের শীর্ষ গোলদাতা। গোল ডটকম