আমিরাতের দ্বিতীয় বিভাগের দল আল ফুজাইরা ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ম্যারাডোনা। বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক ফুটবল দলের সদস্যদের সঙ্গে ১০ মিনিট সময় কাটিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক, সবার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
স্পেশাল অলিম্পিক দলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাড়াও স্বাভাবিক খেলোয়াড়রা আছেন। দলের অন্যতম সদস্য আরামবাগের তরুণ ফরোয়ার্ড মাহবুব রহমান জুয়েল ফুজাইরা থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘কী বলবো ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না! ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তির সঙ্গে দেখা হয়েছে। কখনও চিন্তাও করতে পারিনি তার সঙ্গে দেখা হবে। দিনটা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ফুটবল নিয়েই তিনি কথা বলেছেন। তাকে কাছে পেয়ে আমরা অভিভূত।’
ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তির সঙ্গে সাক্ষাতের সময়টা কীভাবেকেটে গেছে, বুঝতেই পারছেন না ডাক্তার হাফিজুর, ‘ম্যারাডোনার মতো ফুটবল মহাতারকার দেখা পেয়ে ছেলেরা বিস্ময়ে হতবাক। তিনি সবার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, ছবি তুলেছেন, শুভকামনা জানিয়েছেন। অনেকের তো কি বিস্ময়ের ঘোরই কাটছে না। কীভাবে যে ১০টা মিনিট কেটে গেলো!’
স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক ফারুকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আবুধাবিতে আগামী বছরের মার্চে স্পেশাল অলিম্পিক গেমস হবে। এখন ৩০টি দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে মহড়া হচ্ছে। আমাদের দেশও অংশ নিচ্ছে মহড়ায়। ভাগ্যিস ফুটবল দল গেছে, যে কারণে ম্যারাডোনার সঙ্গে দেখা করতে পেরেছে। অন্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রা থাকলে হয়তো তিনি আসতেন না। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।’