২০১৬-১৭ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগেও দেখা হয়েছিল তাদের। কোয়ার্টার ফাইনালে ওই খেলাতেও প্রথম লেগ হয়েছিল মিউনিখে। এবারও তাই এবং কাকতালীয়ভাবে স্কোরও একই! গতবারের মতো এবারও মিউনিখ জয় করে ফিরলো রিয়াল ২-১ গোলে।
পুরো চিত্রনাট্য বলতে গেলে একই। গতবারের মতো এবারও শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। তবে ইয়োশুয়া কিমিচের গোলটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। বিরতিতে যাওয়ার আগেই রিয়াল সমতায় ফেরে মার্সেলোর লক্ষ্যভেদে। এরপর উল্টো এগিয়ে যায় মাদ্রিদের ক্লাবটিই। মার্কো আসেনসিওর ওই গোলটাই গড়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ব্যবধান।
প্রতিপক্ষের মাঠে ২ গোল দিয়ে আসায় ফাইনালে ওঠার পথে সুবিধাজনক জায়গায় থেকে দ্বিতীয় লেগে নামবে রিয়াল। এর ওপর আবার ফিরতি লেগ ঘরের মাঠে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
দুর্ভাগ্য জড়িয়ে ধরেছিল বায়ার্নকে। খেলায় ঠিকমতো মনোযোগ দেওয়ার আগেই স্বাগতিকরা হারায় আরিয়েন রবেনকে। ডাচ উইঙ্গার ম্যাচ ঘড়ির মাত্র অষ্টম মিনিটে ছাড়েন মাঠ। এখানেই শেষ নয়, ৩৫ মিনিটে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার জেরোম বোয়াটেং। মানে প্রথমার্ধেই দুজন বদলি খেলোয়াড় নামাতে হয়েছিল কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কেসকে।
শুরু থেকেই বায়ার্ন আক্রমণ চালাচ্ছিল রিয়ালের রক্ষণে। তবে সুবিধা করতে পারছিল না। বেশ কয়েকবার হতাশ হওয়ার পর অবশেষে ২৮ মিনিটে গোলের দেখা পায় কিমিচের দুর্দান্ত লক্ষ্যভেদে। হামেস রোদ্রিগেসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত থেকে আড়াআড়ি শটে বল জাড়িয়ে জড়িয়ে দেন এই রাইটব্যাক।
তবে বিরতি যাওয়ার আগেই সমতায় ফেরে রিয়াল। ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের সমতায় ফেরান মার্সেলো। বাঁ প্রান্ত থেকে দানি কারভাহালের হেড স্বাগতিক ডিফেন্ডারদের ভুলে পেয়ে যান মার্সেলো, ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাকের আচমকা শট জড়িয়ে যায় জালে।
অবশ্য প্রথমার্ধেই আবার এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছি বায়ার্ন। কিন্তু পারেননি লেভানদোস্কি; প্রথমবার তার হেড কেইলর নাভাস প্রতিহত করেন, ঠিক তার পরপরই আবার বল চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
পরের মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো বায়ার্ন। কিন্তু পারেনি রিয়াল গোলরক্ষক নাভাস দেয়াল হয়ে দাঁড়ালে। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ফ্রাঙ্ক রিবেরি গোলমুখে শট নিলেও তার ঠেকিয়ে দেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে ফরাসি উইঙ্গারকে আবার হতাশ করেন নাভাস।